একটি নদী তার পাশে জনপদ
উপরে অনর্থক দাড়িয়ে একটি আকাশ
শিশির-একরাশ বাতাস সবুজে সবুজে বেশ অনর্থক
ভেজা শাড়ি-বাঁকা কোমরে কলসি
ধান খেত-তার মাঝে বিচ্ছদে জেগে উঠা আইল
চৈত্রের শুন্য মাঠ – পড়ন্ত বিকেলে আশৈশব উড়ে যায় ঘুড়ি
একটি ঘুড়ি কাটা যায়,তার দুঃখে একটি শৈশব অনর্থক
মায়ের কোলে জন্ম নেয়া একটি শিশু,তার কপালে একটি তিল অনর্থক;
তিন মাসে বেড়ে উঠা ধানের শিষে একফোঁটা শিশির অনর্থক ।
পুকুরের পাশে মসজিদ তারপাশে একসারি কবরের উপর ডুমুর গাছে দুইটি চড়ুই,
সন্ধ্যা সিঁদুরে সিঁদুরে আকাশের সাথে সংসার বাঁধে
তাদের সংসারে অসংখ্য তারা সাক্ষী হয়
চাঁদ বিরহ জাগায়
তাদের সংসারে একটি মানব শিশু হামাগুড়ি দেয় আর ঐ চাঁদকে ডাকে
আর জীবন শেষে সে শিশুও বুঝে ফেলে সব অনর্থক …
১৫/১০/১৬