শকুনের প্রার্থণা
ফয়েজ আহমেদ রাজু


একগাদা হরিণ ছুটলো জলাঙ্গীর তীরে
কতক চাতক তখন ভীষণ মগ্ন জল নামানোর ধ্যানে
ফিসফিসিয়ে কিছু চকোর চাঁদের হাঁসি হাসে
শিয়াল বেটাও উপহাসে শুষ্ক কাঁশি কাঁশে
জবরদখল করবেই বলে সে জলাঙ্গীটির তীর
নগ্ন সব হাতি এসে জমিয়েছে ভীড়
শকুনিরা অনেক উঁচুতে বসে দোয়া জপে
কেমন করিয়া হইলেও একবার যুদ্ধ যেন বাঁধে
তীরের নিকটে ঝোপের পিছনে লুকিয়ে যে একটা বাঘ


দলছুট হরিণ পেলে হলো মটকাবে তাহার ঘাড়
যেমনি করে হরিণ বহর পৌঁছালো ঐ তীরে
দেখলো সকল নগ্ন হাতি রয়েছে পার ঘিরে
সরু একটা রাস্তা ধরে একটি হরিণ শাবক
তীরের দিকেই হাঁটছে ধীরে পিপাসায় সে কাতর
বাঘটি তাকে একলা দেখে লোভে আত্নহারা
ভুলেই গেলো হাতি সকল তীরে ছিল খাড়া
যেমনি হঠাৎ বাঘটি করলো শাবকটিকে আক্রমণ
হুলুস্থুলেই বাঘের উপর হস্তী শাবক চল্লিশ মণ
বাঘ হরিণের রক্তে সে তীর লালচে হলো সেদিন
শকুনিরা আশাবাদী আসবে রোজই এই দিন