দিন দুপুরে উপচে পড়া
অঞ্জলি শিশির জলে
চূর্ণ অলক কাজল কেশী নিশা-কালে।  
দিনে কিংবা রাতে
না কোন মোক্ষম সময়ে
যখনি আসিল ঐ সোনালী বেলায়
হাসিয়ে ঝরে পড়ে আকাশপারের
রঙধনু প্রজাপতির ডানায়।


আসিলে ঐ রোদেলাশ্রী সান্ধ্য বেলায়
আঁচলে তুলি আন্ধি রাতে গোধূলী
সোহাগভরে অলখ্যে দেয় পাড়ি চাঁদিনী
দূর গগনে আঁখি মেলে তারায়
জ্বলে এক ফালি জোছনা
বাঁকা চাঁদের তলায়।  


পানসি বেয়ে চন্নি পসর রাতে
এলো যদি ঐ গীতভরা উষসী  
মদির মনে গরজনে বঙ্গোপসাগরে
পুলকে উল্লসি না ছুঁই জল না ছুঁই জলধি
গুঞ্জরে নুপুর মরমরে মুঞ্জরে মাধুবী
নিঝুম রজনীগন্ধা কান পাতা নিশীতলায়
এলে ঐ মাটির সুরে বাংলা আমার
বিপুল পরশে মেতে উঠে
মোর ছোট্ট হৃদয় পুরায়।