(৩১)
মনোরম ঈরাম উধাও ভবে হয়ত পরীস্থানে নিক তুলি পরী
তোমার রোদেলা শুকনো পাতায় বাদল জলকেলে গুনগুনে ঝরে বারি।
তৃষায় হক খরা তেপান্তর তুমি থাকলে পাশে মেলবে নার্গিস আঁখি
আকাশ ছেয়ে গেয়ে আসবে পত্র-পুষ্পে সিন্ধুপুরের সুরেলা পরী!


(৩২)
শুচি শ্রুভ্র নয়াজল তীরে ভিড়বাঁধা ঐ বনানী সবুজ তৃণের ঝালর
নীলিমার শতদল ঝরে রবি বিছিয়ে দিল সোনার কিরণ এরই ওপর।
ফাগুন জ্বলা দিনে সরষে ফুলের হলুদ বনে ফিরে আসে প্রজাপতি
ছুঁয়েও ছোঁয়না শশী জলের ওপর ভাস্বর ধরণী আবেহায়াত অন্দর।

(৩৩)
হাজার খেয়ালের ভীড় বেঁধে মনে গেল ঝরে স্বশোভায় মত্তবেলা
এল নিশিথিনী সন্ধ্যাঘাটে, গগনভর বসিল অযুত তারার মেলা।
রাতের পর দিন রোদের বদলে না হোক কণা যদি মিলে জোছনা
প্রাণের বদলে কী মিলে মিলবে কী বদলে গলার মালা?