(৩৭)
এক পলক দেখে তোমায় অপলক ধরা চেয়ে আছে দিবস বিভাবরী
বর্নিব কী রূপ তোমার সেকি সাধ্যে আমার গুঞ্জে সেতো স্বর্গভরা হুরী।
যেমন খুশি তেমনি নেওতো আমার মনের মুকুর তোমার মতন সাজি
তুমিই দেখে নাও দৃশ্য তোমার, তুমি কত যে অপরূপ সুন্দরী!


(৩৮)
গগন ছেয়ে তরাময় চন্দ্রতপ বিছিয়ে দিল ঐ যে রজনী আঁধারি বিপুল
বটমূলে কৃষ্ণ ছায়া ছড়িয়ে দিল যে বসন্ত তারই বুকে ফুটফুটে লালা ফুল।
এসো সব আঁড়ি ভাঙিয়া জট খোলিয়া রাতের কালো পর্দা তুড়িয়া অরূণোদয়
তোমার গন্ডে কাজল তিলে ভাসবে অমা ফুটবে চাঁদ বাগানে অযুত তারা ফুল।


(৩৯)
আমি আর বসব না তারার সভায়, পাশা খেলব না জোছনা জ্বালা বনে,
'নাইবা শুনাও'—বৌ কথা কও, পাখির সুরে একটু ছায়া দিও আমার প্রাণে।
রাত শেষে উষার রূপের ঝলকে খুঁজে নিব তোমার কালো তিল,
কাজল ডোরায় বিহর শেষে ফিরবে গেল বেলা, নাচবে ময়ূরী কুঞ্জবনে।