(২২)
পরি কহে কানে কানে শুনি কি চৈতি হাওয়ায় বাসন্তি দোল
শত কণ্ঠে আজ মিষ্টি গুঞ্জন মধু শিরণী বিতরণে বনফুল।
উতালা ধরায় শ্যামলারাণীর পাঙ্খা দোলে তরুকুঞ্জ বন উপবনে
শিহরিয়া বহে বায়ূ দিক দিগন্তে মৌন ভাংগি আজ কি কহে ফুল?


(২৩)
বঙ্গোপসাগরে অঞ্জলি নদে নিত্য ছন্দ নাচে দোলে বাঁকে বাঁকে ছল্ ছল্ জল
বনানী তো নয় তারুণ্যের কাঁচা রঙ্গলীলা এই মাটি মাটি নয় কৃশতসু শতদল।
নীলে নীলে দিগন্ত ঘেরা দেখনা তিপান্তরের মাঠ জুড়ে মিটে রোদের মেলা
এই তীরে নিখিল ধরাই বুঝি গুলবাগিচা ফিরিস্তা ছিটিয়ে গেল গোলাপজল।


(২৪)
রবি হতে শিশির ঝরে পড়ে কুসুম-চামেলী লালা ফুল বরাবর
রাতভর চাঁদিনী মাখা মল্লিকা আর সুডৌল গোলাপেরই উপর।
সেশ হলো বিভাবরী নয়ারোদের বাটে, মুখে থাক রাতের নেকাব
কপালে দিনের চমক তবেই ভাল যদি ঝরে জোছনা মনের ভিতর!