এই তো তোমার লাস্যময়ী ঠোঁট
কুসুম কোমল অমৃত
ভাঁজে ভাঁজে আমার আত্মার বিচরন
রক্তস্নায়ু শতদল ফোটায় সুস্নিগ্ধ
তন্দ্রা ভুলে বিভাগী মন যেনো
সেচ্ছায় শৃঙ্খল বন্ধী হয়।


এই ঠোঁটের পরশে শিরায় সিম্ফনী জাগে
দেহ ভেঙ্গে ভেঙ্গে যায়
অনুভূতি ক্রমশ গাঁঢ় থেকে গাঁঢ়তর হয়ে
কামনার আগুন জ্বেলে করে শীত নিবারণ।


অনুভূতির সপ্তদরজা গলে আসে দক্ষিণা বাতাস
উদোম প্রেমে আপাদমস্তক হারিয়ে যায়
তোমার মাঝে খোঁজে শান্তির পরশ
যৌবনের সকল ত্যাজ যেনো তোমার দয়া চায়
সাথে নিবৃতি চায়,সুখ চায়।


এই ঠোঁটের আদরে আমার ভিতর বাহির
যখন জর্জরিত ঘর্ম ক্লান্ত-শ্রান্ত
আমি ঘুমিয়ে পড়ি তোমার পায়ের কাছে
তখন তুমি টোল পড়া গালে হাস
আর মনে মনে বল-
হায়রে পুরুষ!
অবশেষে নারীর পায়ের কাছেই দিলে
তোমার পৌরুষের জলাঞ্জলি।


ফের ভালোবেসে আমায় বুকে টেনে ধরো,
তোমার বুকের উপত্যকায়
দমবন্ধ আমি নাক-মুখ গুজে
পালাবার পথ খুঁজি।
অথচ তোমার ঠোঁট আমার সে আশা
ছিন্ন ভিন্ন করে অন্ধকার থেকে
আমায় আলোতে নিয়ে আসে;
আর আমি স্বর্গের সিঁড়িতে বসে করে যাই
ঝরে আক্রান্ত আমার ঠোঁটের
সমূহ ক্ষয়-ক্ষতির যাবতীয় সার্বিক পর্যালোচনা।