এক সময় এখানে উদাসী বাতাস উড়িয়ে নিতো ঝাঁকড়া চুল,
সবুজ ধানের ক্ষেতে ঢেউ খেলে যেতো গন্ধভরা শাদা পরাগ,
এই শুকনি বিল জুড়ে ছিলো অগনন কচুরীপানা কলমি ফুল,
ছিলো বকের সাদা ডানা হতে খসে পড়া শুকনো পালকের দাগ।


এই বটবৃক্ষের নূয়েপড়া ডালে চড়ে কাটিয়েছি কত বেলা,
নজরুল যেমন করে সময় কাটাতেন বাঁজিয়ে বাঁশের বাঁশি,
দেখেছি ঢিল ছুঁড়ে উড়িয়ে দেয়া পাখিদের মন মাতানো খেলা,
আজ এখানে ঘাসের মতন দালানের নীচে ডুবে গেছে সবুজের হাসি।


এই বটবৃক্ষ এখন আর পায়না ধ্রুপদী মুক্ত বাতাসের নোনা স্বাদ,
রাতে শান বাঁধানো তলায় উড়ে অপমানুষের অপকর্মের ধোয়া,
কোন কবির বাঁশির সুরে বৃক্ষটির এখন কাটেনা চাঁদনী পসর রাত,
হাওয়াহীন-জলহীন-সুরহীন চারিপাশে কেবল ইট-পাথরের খোয়া।


বাঁচাও-বাঁচাও বলে তার চীৎকার আগামীতে হয়তোবা কেউ শুনবেনা,
এখানে বিশাল বিদ্যাপীঠ হয়তোবা একদিন হাতে নেবে সংষ্কারের ভার,
ততদিনে হয়তোবা তার শীর্ণ ডালপালা খসে পড়বে-স্বপ্ন বুনবে না,
দেখে আসি নজরুলের বটগাছ", হয়তোবা মনে করে কেউ বলবেনা আর।


-------------এ কবিতা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়,ত্রিশালের বটবৃক্ষকে নিয়ে লেখা।