আমার কবিতার অন্ধকারে তুমি যেনো আলোর মিছিল,
অন্ধাকারে জ্বল জ্বল করে উঠা তোমার কাব‌্যিক চোখে,
আমি কাব্যের ভাষা খুঁজে পাই,অবারিত ধানক্ষেত মাঠ,
মাঠ জুড়ে কৃষকের গলা ছেড়ে গাওয়া  হাওয়ালী গান,
মাঝির নাও জুড়ে বৌ-যাত্রীদের আনন্দ উচ্ছলতার গান,
বিল-বাওয়া ঝাঁক ঝাঁক খাঁচার ভেতরকার মাছের মতো
আমি ছটফট করি যদি ভাবি কবিতা তুমি হারিয়ে গেছো।


আসলে তোমাকে ছাড়া আমি কিছু ভাবতেই পারি না,
আমার সব কাজে তোমাকে নাহলে আমার চলেই না,
তুমি যখন আমার কবিতার ফসল যোগাড়ে খুব ব‌্যস্ত,
আমি তখন বাধ্য শিশুটির মতন কেবল তোমাকে দেখি,
আর মনে মনে লিখে চলি অনবদ্য সব সুন্দর কবিতা।


তোমার রাগে-অনুরাগে আমি ত্রিবিদ ভাষা খুঁজে পাই,
তোমার চোখ লাল হলে আমি ভালোবাসা খুঁজে পাই,
আমার বুকের ভেতর দেহের ভেতর ঢেউ খেলে যায়
প্রচন্ড কামনার আগুনে পুড়ি-অবশেষে তোমার হস্তক্ষেপে
বৃষ্টি নেমে আসে আমার ভুবনে,আমি সজীব হয়ে উঠি,
আবার কবিতার ঝড় তুলি তোমার চায়ের কাপ হাতে।


তোমার প্রতিটি অক্ষরে সাজাই স্বরবর্ন তোমার ভাষ্কর্য ,
তুমি বুঝ কিনা? না বুঝলে দেখে নাও হৃদয়ের নথিপত্র,
তোমার সোনার মুর্তি আমার হৃদয়ে কেমন প্রৌজ্বল,
ছিঁড়ে নেবে নাও,তবে তোমার ভালোবাসা জলে ধৌত
করে যথাস্থানে রেখে দিয়ে আমাকে বাচাঁও।