নদীকে আজকাল রাজপথ বলে মনে হয়,
নদীও রাজপথের মতো খুনরঙ্গে রাঙ্গতে ভালোবাসে,
মায়ের মতো তার মায়াবী রূপটি যেনো আর নেই
মায়ের কোলে মাথা রাখার মতো,
নদীর জলে ডুব দিতে আমার বড্ড ভয় হয়,
যদি মৃতলাশগুলো আমায় আর উঠতে না দেয়!


কিংবা কর্নভেদ করে ঢুকে পড়ে অসংখ্য মাছ,
কিংবা ঢুকে পড়ে অসংখ্য নুলো কাঁকড়ার দঙ্গল,
আমার মগজের ভেতর বাজাতে থাকে ত্রিতাল ,
কিংবা আমার ঠোঁট চেপে ধরে কোন বিষাক্ত সাপের ঠোঁট,
আর তার লেজ চেপে ধরে আমার নলি।
কন্ঠরুদ্ধ আমার কি হবে?


আমার লাশ ভেসে উঠবে হয়তো কচুরিপানার ভেতর কোথাও,
ঢেউয়ের সাথে ভাসতে থাকবো আমি,
কেউ হয়তো আমার লাশদেখে পুলিশে খবর দেবে,
পুলিস এসে লাশ নিয়ে যাবে ময়নাতদন্তে ,
আমাকে রাখা হবে হিমাগারের হিম ঠান্ডায়,
ঊহ ! না আমি পারবো না।


আমার নদী কিংবা রাজপথ কোনটাই চাই না
আমি সহজে মরতে চাই
আমার মা কিংবা কোন প্রিয়জনের কোলে।
আমার লাশ নিয়ে রাজনীতি হলে,
ভগবানও আমায় বিস্বাস করবে না,
বলবে আমি রাজনীতিবিদ কঠিন মিথ্যাবাদী ,
জাহান্নামের চৌরাস্তা দেখিয়ে দিয়ে তিনি
আমায় বলবেন - দূর হয়ে যা শয়তান।


কিন্তু কে দেবে আমার স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি


আমার চারপাশের সবাই রাজনীতিবিদ,
ওরা আমার অস্বাভাবিক মৃত্যুর সাক্ষি হতে চায়।
যাতে আমি সহজে চলে যেতে পারি নরকে,
আমি জানি ওখানেও ওরা শান্তিতে থাকবে না,
ওখানেও একটারপর একটা বিশৃঙ্খলা ঘটিয়েই যাবে
বেচেঁ থাকতে যেভাবে পৃথিবীর মানুষগুলোকে জ্বালিয়েছে
ওখানেও দল - বিদল করে যাবে সারাক্ষণ ,
আমি না হয় আমার কথা ভেবে ক্লান্ত
কিন্তু ভগবানের কি হবে?
তিনি কি করবেন তখন?
তার গদি নিয়ে যে টানাটানি হবে,
মিছিল হবে - ভগবান তুই গদি ছাড়
গদি কি তোর বাপ দাদার?
কিংবা ভগবানের গদিতে আগুন জ্বালাও এক সাথে
আমরা না হয় ভগবানের কাছে যাবো
তিনি কোথায় যাবেন?


হায়রে রাজনীতিবিদ ভগবানকেও বাঁচতে দিবি না,
আমাদেরও না,
ভগবান তুমি পালাও,
সামনে আয়েলা কোন মতে পা বাঁচাও।


মা আমি ভগবানের কাছে যাবোনা,
তোমার কোলেই রবো,
আমার যাবার বেলা মুখে কেবল দিয়ো এক আজলা বিশুদ্ধ জল।