প্রথম যাকে ভাললেগেছিলো,
সে ছিলো নিতান্তই অবুঝ;
আর আমিও ।

দ্বিতীয় যাকে ভালোলেগেছিলো,
সে জানতই না ভালোবাসা কারে কয়,
আমিও না।

কৈশরে যাকে ভালোলেগেছিলো,
সে ছিলো আনমনা,
তখন আমিও কিছুটা আনমনা ছিলাম।

চতুর্থ যাকে ভালবেসেছিলাম,
সে ছিলো খুব দুরন্ত;
ঠিক আমার মতো,
আমি তাকে ভালোবাসার কথা বলতে পারিনি,
অথচ সে জানত তাকে ভালোবাসি।

পঞ্চম যাকে ভালোবেসেছিলাম,
সে ছিলো যাযাবর,
একদিন পিতা মাতার সাথে সে হলো পলাতক।

তারপর যে আমাকে ভালোবাসতো,
সে ছিল চতুরঙ্গ,
চিঠির ভাষায় আমার মনে কেটেছিলো আঁকিবুকি।

বিস্বাস করুন কেউ একজন একদিন লুকানো সে চিঠি গুলো
পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছিলো।

এখন তার কথাই বলছি-

এর পর আমাকে আর খেলতে হয়নি লুকোচুরি,
এরপর আমি একজনকেই মন দিয়েছিলাম,
যে পুড়িয়ে দিয়েছিলো সেই চিঠিগুলো।

তার চোখের আয়নায় আমার মাথার চুল আঁচড়িয়েছি কতো,
তার হাতের আঙ্গুলে আঙ্গুল রেখে
আমার আঙ্গুল ফুটিয়েছি কতো,
পিঠে পিঠ লাগিয়ে আকাশ দেখেছি কতো,
মনে নেই,
মনে নেই তার সাথে কেমন করে কথা বলেছিলাম প্রথম,
কেমন করে কেটে গেলো এতোটা বছর,
অথচ এখনও লাগে এইতো সেদিন,

আসলে আমরা পরস্পরকে খুব ভালোবাসি,
আর বেসে যেতে চাই বাকিটা জনম
এবং তাই যেনো হয়।