..................................................


কত যে বেদনা লালন করছি বুকের ভেতর ,
সভ্যতার কর্নপ্রপাত ভেদ করে বেরিয়ে আসা আর্তনাদ,
নির্ঘুম রাতের সহজিয়া শ্লোগান,
তুমি শুননি,শুনতেও চাওনি কোনদিন।


যে চিৎকার আকাশে বাতাসে তোলে আলোড়ন,
নিনাদে কম্পিত বিদ্যুৎ ঝলকের মত ফুঁসে উঠে॥


অক্টোপাসের মত ঘিরে থাকা বেদনা,
ঘুনেধরা সমাজের ঠোঁটে চুমো খায়
নীতিমালাহীন নীতির নাতিশীতোষ্ণ সংলাপ,
শুকনো পাতার মতো ভেঙ্গে যায়,
দুঃসময়ে চিতার অনল জ্বেলে হাসে অট্রহাসি ।


কালপ্রিট কবিতা আমার আজন্ম শত্রু,
ওকে আমি পোড়াবো,
কাবাব করে সুষমায়,
সন্ধ্যে বেলার তেলেভাজা পরোটার সাথে
পাঠিয়ে দেবো চমৎকার যজ্ঞভূমির গহিনে।


বলি! সভ্যতা তুমি আর কত নগ্ন দাড়িয়ে রবে,
সাতরাস্তার মোড়ের ময়ুরপুচ্ছ হয়ে,
কংক্রিট ভবিষ্যতের সুনীল সম্ভাবনায়;
কেউ তো নাই অগ্রপথিক,
তোমাকে নিয়ে যাবে গঙ্গার দিকে,
সামগ্রিক বেদনার জলাঞ্জলি দিবে তুমি,
আনবে প্রফুল্ল কোন রোদেলা প্রভাত।