আমার প্রিয় করিডোরে একদল শুয়োরের দঙ্গল


উইপোকা ভূগোল কেটে খেয়ে গেছে বাংলাদেশ।


কে যেন ছিঁড়ে নিয়ে গেছে


দেয়ালে টানানো ছবিটা থেকে প্রেমিকার একটা স্তন।


কালো দোয়েলের সাদাহাগায় বিপদগ্রস্ত লাল গোলাপ


আজ তাই বাঁশিতে ফুঁ দেবো না কবিতার মোড়ে দাড়িয়ে


অন্যদশজনের মতো চেন খুলে খালি করবো বোতল।


বিকেলে ফ্রি আড্ডায় আগুন ছেড়ে তুলবো অন্যায়ের ছাল


তারপর রাতে পূর্ণিমার চাঁদখেয়ে হবো দেবদাস


পার্বতীদের উড়না ছেঁড়া মশারির নিচে হবো বেভুলা আবুল।


আমি তো টুথব্রাশে পিপড়া মারি


ব্লগার মেরে রাতারাতি বিখ্যাতদের তালিকায় আমি নেই


নগন্য আমি-বেনসনের মুথাকে ভাবি ফাল্গুনীর ঠোঁট।


মন্ত্রী-এমপিদের ভাগ্যে বরাদ্দকৃত রিলিফের মালের মতো


দরআগুন সময়ে আমার জন্য কেউ বানায়নি বিশেষ ফ্ল্যাট


আমার করিডোরে ভাঙ্গাকাঁচের নিচে অবারিত জ্যোস্না


আমি সেখানেই থাকি-সারারাত কবিতা লিখি


আমাকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন-বলবো মাশাল্লাহ ভালো আছি


কেবল আমার আন্ডারওয়ারটাই খোয়া গেছে গত সাতদিন


কেনা হয়নি উদ্ভট পেস্কেল পাইনি বলে।


প্যান্টের পেছনে ফুটো বলে বউ বলেছে আমার পেটে গ্যাস


ডাক্তারের কাছে যেতে-বউকে বলেছি কিভাবে যাবো


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাড়িয়ে দিয়েছে ওদের প্রেসক্রিপশন চার্জ


যা ইচ্ছে তাই করছে ওরা-পরে যদি ওরা আমায়......


আমার করিডোরের অদূরে স্কুলে বেঞ্চে বসে পড়ে আগামী


তাদের যারা পড়ায় তারা শিক্ষামন্ত্রীর নোনা কথায় ভিজে


গড়মজল আর লাঠিপেটা খেয়ে ঠান্ডাজনিত রোগাক্রান্ত


আমি ভাবছি তরকারি বেচবো-দেখব শালা সরকারি চাকুরে


পয়সা রাখে কই-বউয়ের ঝোলা কেটে কিনে নিয়ে যাবে


দুই নম্বরি মাল।


রাতারাতি আমরা শুদ্ধ হাজী ফরমালিন বেচিনা খোলাবাজারে


সব তাজার এই বাজারে তাজাপ্রাণ পঙ্গু -সাথে বিবেক


আজ শুয়ে শুয়ে শুয়োরদের কাছ থেকে জেনে নেব


বিবেকের মাত্রা বর্তমানে কত-শুন্যের কাছাকাছি হলে বেশ ঘুম হবে আমার।