-----------------
একুশ এলেই হৈ হুল্লোড়ে মেতে উঠে সারা দেশ
আর সারাদেশের কবিদের গতরে লাগে উন্মাদ হাওয়া
কেউ কেউ শুণ্যতার বাগানে বসে করেন সবজি চাষ
কেউ কেউ সামান্য আলু পটল ফেরি করে নিয়ে আসেন
বর্ধমান হাঊজে পড়ন্ত বিকেলের হাটে
নতুন বইয়ের সুগন্ধ আহ কী আনন্দধারা
নতুন মলাটে স্বপ্নের সোনালি যাত্রা প্রাণ জুড়িয়ে যায়।


আবার একুশ এলেই ভাবুক কবিদের কষ্টের মাতম বয়
যারা অনলাইনে পড়ে পড়ে পয়ারছন্দ লিখে
যৌবন বয়সে চোখের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন
তাদের মনে কালোমেঘ কষ্ট নিশান উড়ায়
আহারে একটা বই যদি বের হতো আমার
কিন্তু কিভাবে হবে তেল ঘষেও যে ডেকে আনা যায় না।
এরা এতোটাই বড়কবি যে গহীনে অতলে হারিয়ে
অবশেষে ভাবেন যাক আমাকে দ্বারা কিসসু হবে না।


অথচ অনেক কিছু হবার কথা ছিলো
ঝাঁঝ ধরানো লিখে মার্ডার হওয়া যেতো বই মেলার গেটে
দিন দুপুরে খুন হয়ে হওয়া যেতো ফরিয়াদী


বিনা বিচারে নিজের অস্তিত্ব ডুবে যাওয়া দেখা যেতো
অথবা হওয়া যেতো শ্লীলতাবিহীন
সামান্যই তো ওসবে কিচ্ছু আসে যায় না
যেখানে খুনের বিচার হয়না
টিম গঠন তদন্ত চলে বছরের পর বছর
ভিডিও ফুটেজ মিথ্যা হয়ে যায়
সেখানে তো কবিতা! আর যাই বলুন -ব্যাপার হাস্যকর
বাক স্বাধীনতার জন্য যে স্বাধীনতা সেখানে লাশ হয়ে ফেরা
শে কি চাট্টিখানি কথা - রীতিমতো শ্লোগান যেন।
আহা কী আনন্দ একুশ এলে
আহা কী আনন্দ ফেব্রুয়ারি এলে
নাচতে নাচতে হয়ে যাই বদ্ধ উন্মাদ।