অন্ধকার আবার ঘনিয়ে আসে।
সূর্য প্রেমিকার বুকে মাথা রেখে,
লাল থেকে আরো গাঢ় লাল হয়ে,
তোর সিঁথির সিঁদুরে মিশেছে সন্ধ্যে।
যারা ক্ষেতে দিনরাত, রাতদিন
সোনালী ফুলের গন্ধে মেতেছে ,
দূর থেকে আরো বহু দূরে,
বিন্দু থেকে বিন্দুতে নিজেকে মিলিয়েছে।
এবার, তবে ঘরে ফেরা
ফিরছে ঝাঁক ঝাঁক পাখীর দল,
ফিরছে ভেজা চুলে সন্ধের বুনো হাঁস,
ছাগল গরু দিন মজুর পিঁপড়েদের দল,
অনেক দুর্গম জীবনের পথ।
হয়তো হবেনা অনেকের ঘরে ফেরা
জেগে উঠবে তারাদের মাঝে আরো একটি তারা।
কোথাও মোমবাতি জ্বালানো মিছিলে,
জ্বলে উঠবে রাস্তার বোবা ল্যাম্প পোষ্ট।
সারা রাত শুনবে শীতে কুয়াশার শব্দ।
তখনো বইবে বাতাস
অবশিষ্টে, উড়ে আসা ছেঁড়া খবরের কাগজ
ভিজবে, ল্যাম্প পোষ্টের চোখের জলে।
জানাবে ঘরে না ফেরা পাখিদের খবর,
পথ হারানো পিঁপড়েদের গল্প।
হয়তো অন্ধকারে আবার সজারু কাঁটা দিয়ে,
উইপোকার ঢিবি ভেঙে বেছে নেবে খাদ্য।
আর তাই দেখে ভীতু পিঁপড়া কোন ইন্দুরের গর্তে
যেখানে সাপের অপেক্ষায় গোটা রাতে অধিবাস।
যত বেশী অন্ধকার গাঢ় হবে
ল্যাম্প পোষ্টের আলো আরো তীব্র হয়ে ঝরবে চোখের জল।
কুয়াশার শব্দে ফেটে যাবে পিঁপড়েদের কানের পর্দা,
তখনো খবরের কাগজের সংবাদ শেষ হবে না।
ভোরের দেওয়ালে বক্তৃত লেখক, লিখে রাখবে
পিঁপড়েরা কোনো দিনও কিছু শুনতে পায়নি।