আবার সন্ধে ঘনিয়ে আসে ,
কুঁজো বুড়ির সাদা থানে।
একটু পরেই, একটা সরু গলি দিয়ে
উঁকি দেবে, এক টুকরো বাঁকা চাঁদ,
সঙ্গে নিয়ে কিছু বিদঘুটে কালো শাপ,
কুঁজো বুড়ির আচলে,
বেঁধে দেবে, একটা অভিশপ্ত ধর্ষণের রাত।


ধর্ষণ, চার থেকে আশি বছরের
শারীরিক চাহিদা মেটাতে মেটাতে,
ঝলসে পরা খসখসে চামড়ায়,
তখনো জমে, দুপুরের ঘাম।
লাঠির উপর ভর দেওয়া, সংযোগ সময়ে
একটু একটু করে, সরে যায় নড়বড়ে বিকেল।
নিঃশব্দে, পাড়া গাঁ ভেঙে
এগিয়ে চলে ধূসর সাদা থান।


জীবন এতটাই অভিশপ্ত,
বৃদ্ধাশ্রমেও ঠাই নাই কুঁজো বুড়ির।
ওখানে তো বড় বেটার মা-রা থাকেন,
ওখানে যে, ভীষন খরচ।


দিনের শেষে, আশ্রয়ের খোঁজে
গলির মুখে যখন বাঁকা চাঁদ।
ঝানিপরা চোখ আর ঝলসানো মুখে
ঝি ঝি পোকার চেনা ডাকে,
খুঁজে পায় রাত্রি কাটার অবস্থান।


এমনি ভাবেই রোজ সন্ধ্যায়,
সূর্যটা ডুব দিয়ে যায় পুকুর জলে
কুঁজো বুড়ির সাদা থানে।
রেখে দিয়ে, দারিদ্র্য জীবনের
খুব চেনা জানা অভিশপ্তের ছাপ।


আরো একটা যুদ্ধের পূর্বে,
কুঁজো বুড়ির ভেজা শাড়ী
আস্তে আস্তে শুকতে থাকে,
পাখি ডাকা ভোরের আশায়।