যদি দেখতে চাও ভারতবর্ষ .....
তোমাকে দিলাম একটা গোটা রেল স্টেশন ।
যা যা দেখতে চাও, খুঁজে নাও
সবই পাবে এখানে ..........


হিমালয়ের তুষার পাত থেকে,
দক্ষিণ মহাসাগরের ঢেউ ভেসে
দিল্লীর রাজপথ, সেনার কুচকাওয়াজ।
নিষিদ্ধ পল্লীর সরু সরু গলির দেশ।
এখানেই প্রতি পদে ইঞ্জিনের সিটিতে,
ঘুমোর নৃত্যে রুদালির চোখের জল।
এখানেই পাবে বিহুর বহাগ সুরে,
হই চই করা বালক-বালিকার দল।
তুমি যদি চাও, খুঁজে নাও
খুঁজে নাও, সূর্যের সাত রঙে, ঘামের রঙ.....


দূরপাল্লা ট্রেন আসে আর চলে যায়,
কতো শত জন জোয়ার নিয়ে
তুমি আমি আর শিখণ্ডীর সংসার,
হাসি মুখে দম্পতির হাত ধরে ।
হাসির কথায় কেউ জানবে না
গন্তব্য কোথায়, আর যাবো কোথায়?


চাইলে আরো খুঁজে পাবে, কচি কচি
শিশির ভেজা শীতের রাতে
ক্ষুধার্ত ভীক্ষারির সংসার .......
কম্বল বিহীন কুকুর গুলোর মাঝে
একে অপরের সাথে, শুয়ে আছে প্রণেশ্বর।


আরো আরো বাকী আছে ভারত ভ্রমণ,
পুরো দেশটা মেতেছে স্টেশনে।
ফেবিকুউকের নেশা গ্ৰস্থ ছেলেমেয়েদের সাথে,
আবার অসংখ্য পাগল পাগলীর দল,
নিখোঁজ ফাইলে জমে থাকা  ধূলিকণায়।
বলো কি দেখতে চাও ...... ?


অক্ষম ব্যক্তির সংগ্রামে গড়ে তোলা
প্লাস্টিক ঘেরা সাজানো ফুটফুটে সংসার,
না প্রতিবন্ধী মানুষের সংরক্ষিত স্থান ।
গোটা বিশ্বটা তাকিয়ে তোমার কাছে
চাইলে ভালবেসো নয়তো ভুলে যাও।
আর যদি কিছুই খুঁজে না পাও?
এমনিই ঘুরে দেখো ভারতবর্ষ।
কতো ট্রেনই রোজ, আসে আর চলে যায়
চালক বদলে যায়, বেলা বয়ে যায়
জীবনের ব্যস্ততা উপেক্ষা করে
বন বন করে ঘোরে ঘড়ির কাটা।
যেই ট্রেনের সময় হয়
নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে যায় ।
শুধু স্টেশন সাজিয়ে রাখা থাকে,
তোমার আমার ভালবাসার ভারতবর্ষ।