কোন মতবাদ সমাজে প্রতিষ্ঠা-লাভ পেতে হ’লে এক প্রক্রিয়ার মধ্যে তাকে উত্তীর্ণ
হ’তে হয় । প্রথমে মতবাদ প্রচারিত হ’লে বিশেষ কেহ মনন করেন না- লক্ষ্য দেন না । যদি কারো নজরে আসে তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়, পরে অবজ্ঞা করা শুরু হয় । তারপর ও মত না সরলে- টিকে থাকলে, তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে, বিরোধ শুরু হয় । এই সমালোচনার মধ্যে কিছু কিছু ন্যায়ের ভাবনা উদয় হয় , যদি সমাজে মতটি আরো মজবুত হতে শুরু করে,- মান্যতায়-স্বীকৃতি পায় তবে টিকে যায়, আগে তার প্রচার হয় ।
এখানে আমার কথা, কবিতা নিয়মে সে স্বতঃসিদ্ধ । তার নিয়ম নিয়ে আর কোন কথা হবে না ।
যাঁরা সঠিক নিয়ম বহির্ভূত কবিতা লেখেন বা লিখে ফেলেছেন, বহুপাঠকের উৎসাহ অর্জন করেছেন,- উৎসাহী হয়ে লেখার কাজে ন্যাস্ত আছেন, তাঁদের শেষ উপায় কী ? সাহিত্যে কি তার মূল্য আছে ? এখনো এ বিষয়ে "নানা মুনির নানা মত" । যদি তাঁর লেখার মূল্যই থাকল না ! (মনের কথা নিজস্ব মতে প্রকাশ করতে চান, কবিতার মাধ্যমে) । এ হেন নীতি বিরুদ্ধ লেখা- সৃজন হওয়ায়, সমাজে বাধা আসছে !! তবু কেহ পাঠ করে আনন্দ পাচ্ছেন , কেহ কেহ তাঁর লেখাকে প্রোৎসাহন দিচ্ছেন -বিরোধ করছেন না । এর উপায়- বিহিতে শেষমেশ মীমাংসা কী ?
সাহিত্যে পদ্য ও গদ্যের চল ,- গদ্যের আবার নানা রূপ , বড়ো গল্প,-ছোট গল্প ,প্রবন্ধ, প্রহসন , নাটক, গদ্যকাব্য,.... ইত্যাদি । পদ্যের এখনো বিশেষ শ্রেণী ভাগ (ছন্দ ছাড়া) হয় নাই । কবিতা- গদ্যরূপে কাব্যে স্বীকৃতি পেয়েছে । তবুও যেন কোথাও কাব্য সৃজনে তাকে বাঁধো-বাঁধো লাগছে, মন খুলে প্রকাশিত হতে পারছে না ! তাই এই দিকটায় সকলের মন আকৃষ্ট করতে চাইছি এবং সমাধানের সুপথ খোঁজায় চেষ্টাবান হতে আগ্রহ প্রকাশ করছি ।
তার জন্য আমার মত ,-পদ্য বা কবিতা- তাদের জায়গায় থাক ।
নূতন অমিল ছন্দে না গদ্যে ও ছন্দ মাত্রা নিয়ম না মেনে, লেখাগুলিকে জীবন দান, মান্যতায় পরিণত করা যায় কিনা ? সবে মিলে তার উপায় খোঁজা ।
সে লেখার নূতন নামকরণ---'উপদ্য’, “তাদ্য” ( কবিতার> তা- আর গদ্যের- > দ্য মিলে- “তাদ্য”) মূল অর্থ, না কবিতা না গদ্য । আরো কিছু নাম >  ‘উপপদ্য’  “ভাবকথা”, মনোকথা, ব্যক্তকথা, কিছুকথা, এমনিকথা, মাত্রকথা , দীপকথা, কথাদীপ , কথাসার, কথামালা,যথাকথা, কথাযথা, কথাময়, কথাভাব ,কথালেখ ,কথারস । স্বরসাগর ,স্বরমালা, স্বরধর ,স্বরচল ,স্বরদীপ  ইত্যাদির মধ্যে সবার পছন্দে- নামের “একনাম” নবরূপ দিয়ে যদি সেই লেখাগুলিকে মান্যতায় আনা যায়- তবে হয়তো লেখাগুলির জীবনদান হ’তে পারে । লেখকের আত্মবল বাড়তে পারে । সাহিত্য সমাজে , কাব্যের এক নূতন দিক প্রকাশ পাবে । এ বিষয়ে আমার নিজস্ব মত । সুধীজনার কাছে প্রার্থণা তাঁরাই পথ বলে দিতে পারবেন ।
ধন্যবাদ । ( লেখাটির দিন ,ইং-২৩-১১-২০১৯)