জনহীন প্রান্তর, সে মাঠের মাঝ ,
শান্তির আশ্রয়, এক অশ্বত্থ গাছ-
নানা দেশের, নানা বর্ণের পাখি-
সেথায় একত্রিত, যেন সখা-সখি ৷
পিঁড়ি দর পিঁড়ি, সবের বাস -
আপনত্ব ভরা, সুখের আভাস ।


সকাল সাঁঝে করে চেঁচামেচি ,
নেই দ্বম্দ্ব- কোন খামচা-খামচি ৷
করেনা সীমা নিয়ে ঠেলাঠেলি -
পাড়ে না অকারণে, অকথ্য গালি ;
আস্থায়, ছা-বাচ্চায়, নির্ভয় বাস ,
বাঁচা ভালবাসায়, আপসে বিশ্বাস ৷
নেই অস্ত্র- দাঁত, নখ, অতি -
তারা কভু করেনা, কারো ক্ষতি ৷


একদা এক বাজ উড়ে আসে ,
নিশ্চুপ গাছের মগডালে সে বসে ;
তার হিংস্র চক্ষু , রং রক্তবর্ণ !
মগজ সদা সজাগ, খাড়া দু’কর্ণ ৷
চঞ্চু ক্ষুরধার ,তীক্ষ্ণ কঠোর-
বাজনখ ধারাল, সেও জবর !


সে বিদেশী, লুটের জাত -
কলুষিত তার, পাঞ্জা অগাধ !
সারাটা জনম ,একই কর্ম -
মানে না সে জীব ধর্ম ,
শক্তি অপরিসীম ! শক্ত-দড়ো -
সে যে শিকারী পাখি, সবার বড়ো !
সুযোগে পায় যদি কারো নাগাল ,
অবধারিত পোড়ে, তার কপাল !


(ইং-২৬-০৭-২০১৭)