বিশাল ধর্মনিরপেক্ষ ভাইচারা ভারত দেশ
সুহৃদ রাজা ইচ্ছা পোষেণ দূরিতে ক্লেশ ,
জানতে চান, মানব মূল্যের অমৃত বাণী
ডাকেন ধর্মসভা সর্বধর্মের গুণী ও জ্ঞানী ।
একদা মহাসভা বসে নির্ঘন্ট মত সে তিথি
উপস্থিতি বিচিত্র সাজে আপ্যায়িত অতিথি ।


মুণ্ডন কেশ, কপালে চন্দন ,তিলক ফোঁটা
টুপিপরা- লম্বিত দাড়ি গুম্ফগুচ্ছ আছাটা ,
টিক্কিধারী,গলে শোভে সুগন্ধি ফুলমালা
হাতে নামজপ থলি , পুতির পবিত্র মালা ।
কতজন উদল গায়ে গেরুয়া কাপড় পরা
হাতে সিঁদুর রঙা, লৌহ ত্রিশূল চিমটা ধরা ,
পাগড়ীধারী সৌম্য দীপ্ত কত-কত চেহারা
কেহ শ্বেত বস্ত্রে ,সুশোভিত বদনে তারা ।


সময়ে ধর্ম মহাসভার আলোচ্যসভা শুরু –
ভাষণে মঞ্চে ওঠে, একে একে ধর্মগুরু
উচ্চারিত গূঢ় বাণী নিজ নিজ ধর্মাচার ,
গম্ভীর ভাবনা সহ সবে করেন প্রচার ।
কেন, শ্রেষ্ঠতম উন্নত তার নিজ ধর্ম ?
তুলনায় বুঝান তার মূল-বিন্দু ধর্মমর্ম ।
কেহ বলেন, তাঁর ধর্মে যুগে যুগে
চলে, ধর্ম নিয়ে লড়াই, মহা আবেগে ,
যাঁরা তাঁর ধর্ম মানে না তার সমাজে
অন্যের মূল্য-স্থান, নেই কোন কাজে ।


রাজনের এবার অন্তিম নির্ণয়ের পালা
মানবতা লেখা, দান করেণ এক মালা ,
বিনয়ে রাজা বলেন, সবে গলে পর এ হার
এ বাঁচার উপায় ,শান্তিতে আজ সংসার ।
সর্বধর্মে ,একতা ভাইচারা সদব্যবহার
এই তো প্রকৃত মানবের মহা উপহার !


ধর্ম, তার নিজ নিজ আস্থা-বিশ্বাস সম্পত্তি
তা’ নিয়ে কেন হীনতা তুচ্ছ টানা- বিপত্তি ।
অমনি কোথা হতে ছুটে আসে একতীর ,
তীরে ক্ষতবিক্ষত হয় রাজার সর্ব শরীর
মৃত্যু হয় রাজার, স্তব্ধ হয় জনভীড় !


(১৯-০৭-২০২১)