সম্পূর্ণ রাজনীতির উপর লেখা কাব্যের নাম > "ভাবনা", তার ধারাবাহিক আসরে রাখলাম (পর্ব-৩-৪,মাটি, মানুষ )-, লেখাটি ইংরাজী মার্চ-এপ্রিলে- ২০১৫-তে লেখা হয় ।


মা-মাটি-মানুষ
মাটি---৩
মাটি,-গরীবের শক্ত ঘাঁটী
ঐ মাটিই ভিটে,-বসতবাটী
আর্ত জানে মাটির মানে
মাটিই পরাণ চাষীর জীবনে ।
আঁকড়ে ধরে মনে-প্রাণে
আজ, সুখ নাই চাষীর সনে
ভরাদুঃখ -মনের কোণে !


চাষী ফলায় আলুর ফসল
নিবেশ করে অর্থ সম্বল ,
একী !হাটে আলু অচল !
সরকারী ব্যবস্থা হয়েছে বিফল
চাষীর জীবন হয় বিকল ,
চাষী পড়ে অথৈ জলে-
মাটি পায় না পায়ের তলে !
দাম পায় না, বাড়ায় ভাবনা
কষ্টের জীবন, পায় যাতনা
আশায়, আলু তুলে
মৃত্যুর কোলে প্রাণ ঢলে !
এই হ’ল সেই মাটি
গরীবের হেথায় হয় দুর্গতি,
এটাই হল আসল খাটি !
‘ভাবনা’ জ্বালায় আস্থার বাতি !


আর এক মাটি সিঙ্গুর-
সে নাগালের অতি দূর ,
ভোটে দেখায় মরীচিকা
‘মাটির সাথে তুলনা টাকা ,
কক্ষনো হতে পারে না ?’
হুংকার ছাড়ে ‘ভাবনা’ ৷
‘ভাবনার’ কাজ এমনি সাজ
ভোলা জনতা মানে আজ ,
মানুষ চায় কর্ম বা মাটি
কিছুই হবে না এর কোনটি ।
ঐ আস্থা মন্ত্রদিয়ে
জনতাকে রাখবে ভুলিয়ে
মাটি যে আস্থার কলকাঠি ,
কাজে ‘ভাবনা’ নাড়ায় এটি ৷


স্বয়ং শিল্প বিতাড়িতা
আনে নূতন অদ্ভূত প্রথা !
আগে চায় না মাটি
মানতে বলে তাঁর মতটি ,
দেখ, অদ্ভূত কর্ণধর
শোন তাঁর শ্রীমুখের খবর
‘বাঁচার পথ খোঁজ আজি
আলু-বেগুন, ভাজাভুজি’ -
জনতা কি হয় রাজি ?
                      
মানুষ---৪
মানুষ, যেন আজ ফানুস ,
আছে কী চলায় হুঁশ ?
এ যেন ওড়ে ঘুড়ি
ঘুড়িকে যে ওড়ায়
সুতো ধরে কেবলি তাড়ায়
ঘুড়ি, শুধু ওড়ে হাওয়ায় ,
ওড়ে ‘ভাবনার’ ইশারায় !
এ ছাড়া নেই উপায় ,
যায় তো কোথায় যায় ?


আরো হয়ে উঠেছে ফুটবল-
যতই থাক না হয়ে- সবল ৷
ফুটবল নিয়ে যেন খেলা
এতে হেলায় গড়ায় বেলা ,
অকারণে ধরে মারে গোলে
সবারে খেলায় তালে-তালে ৷
আবহাওয়া ভরা চারিদিকে
ফুটবল ভাবে যাকে তাকে
এক নায়কের যথেচ্ছা বাড়
সাথে লেঠেল- খেলোয়াড় ;
কে খেলায় ফুটবল্ এবেলা
মানুষকে করে অবহেলা ?
“ভাবনার”, এসবের কল্পনা
ব্যাপক তার জল্পনা ৷


‘ভাবনা’, মনেতে ধরে আশা
চিন্তাধারা বেজায় খাসা !
ফেলিয়া কলে বিপুল বলে,
মানুষকে নেবে উপরে তুলে
বস্তু মত উঠিবে ফুলে
সবই ঘটিবে ‘ভাবনার’ মূলে !
ছড়াক বিশ্বময় বাঙালীর নাম
দেখে যাক ‘ভাবনার’ কাম !
                     (ক্রমশঃ)
*-২০১৫ সনে বাংলায় আলু সরকারী মূল্য না পাওয়ায় চাষীদের অনেক ক্ষতি হয় ।