যতো নামে ডাকা হোক না কেন ? আস্তে অথবা জোরে
দেবতা সবলে বসে আছেন, শ্রেষ্ঠ আসনে ঐ দেবঘরে ।
যার একটা ইঁট বা পাথর তাঁর যোগানে দায়দায়িত্ব নাই
ভিতে একঝুড়ি মাটি দিয়ে ও শ্রমে, করেন নাই ভরপাই !


তবু সাদর ভোগ সংখ্যা ছাপ্পান্ন , দুধ-কলা-মধু -নবান্ন
পরম্পরা ধাঁচে পিঁডি দর পিঁড়ি এ রকম সমাজে মান্য ।
না খেয়ে তাঁকে এবং শিষ্যদের জন্য রাখা হয় বরাদ্য ,
বাকিরা আস্থায় ডুবে থাকে , সাথে নিয়ে ভাগ্য-ভাগ্য ।


কি ভাষায় ডাকিলে দেবের সাড়া, আজ ও বুঝি তা অজানা ,
সম্পন্ন কিছু তো বেশ মেতে ! দেবতা কিছুই বলেন না ।
মান্যতা , দিব্য চক্ষুতে তিনিই সব দেখেন ! শঙ্কা নেই-
বড়ো দাতা জানে, দক্ষিণার অর্থ, বিপথে আসে এমনিতেই ।
লাভ বহু, লোকে জানুক দাতা । ব্যবসার পথ হয় সুগম ,
মন ফুরফুরে, কর্মে লাগে দিল্ , প্রশস্ত- উৎকোচ ধরম ।


অহম প্রশ্ন ? যার- ধূলিই বিছানা , ছাদটি মুক্ত আঙন ,
ওরা রূপে মানুষ !শুধু দু’মুঠো অন্ন তরে বাঁচা-মরণ ।
কাতারে কাতারে সুবে-শাম, হাত পাতা, হে ঈশ্বর !
কিছু স্তুতিবাণী অভয় দানে, কাঁপে কি তব অধর ?
আর্তের ডাক যায় না কানে ? হাবভাবে বা ইশারায় !
দয়ায়, তোমার দুয়ারে হত্তে দিয়ে তারা যে পড়ে রয় ।


কত আর ? কি ভাবে ? অধম- মূর্খ, ডাকিবে কত বার ,
বাস্তবে তুমি নেও কী কখনো, অভুক্তদের খবরা খবর ?
ভিতরের আবেগ ভাষায় অব্যক্ত ,চেহারায় বলে সব !
ওরা জাত-ধর্ম-গোত্রহীন । দুঃখ-কষ্ট ভোগে অসম্ভব ।


ঐ আস্থার ধর্মপিঠস্থানে যিনি বিরাজমান, শক্তিমান- জ্ঞানে ,
তাঁর দয়ালু অন্তঃকরণে কী মতিগতি ? ওদের মঙ্গল সনে ।
বাইরে লেঠেল শাস্ত্রজ্ঞানে , যজ্ঞে দানেন আহুতি ,
যা চলছে- চলবে ,পুথির ব্যাখ্যায় কর্ম করিও মাতি ।
আছে সুব্যবস্থা সবার জন্য অশ্বমেধ, নরমেধ পূজা ,
এভাবে কাতারে তাই দুঃস্থের ভাগ্য, রাজার রাজ্যে প্রজা ।


(ইং-২৩-০১-২০২০)
( “ক্ষুধার্ত ভিক্ষুক”,ইং-২২-০১-২০২০) কবি ‘গৌতম রায়’ তাঁর কাব্যে মোহিত হয়ে আমার এ কাব্য “প্রশ্নবাণ” লেখা। কাব্যটি শ্রদ্ধেয় কবিকে উৎসর্গ করিলাম ।