ধূমকেতুর জাত !আমি একপুঁজিবাদ ,
ঘৃণা, নফরত্, প্রভেদ ,করি আবাদ -
চারিদিকে হুলুসথুলুস দৃশ্য- যাহা
না বুঝে সবে করে - আহাঃ- আহাঃ !
এ- চোখ ঝলসানো করিস্মা ! মানো ,
মোহ মায়ায় সবি বাঁধি ,তা’- জেনো ;
সুখভোগ, আস্বাদে, না রাখি কিছু কম
আশীবিষে অসাড় করিতে হই সক্ষম ।


একছত্র দম্ভে, জাগ্রত সভ্যতা ক্ষয়ে -
লিপ্ত দুরাচার বৃদ্ধিতে, সর্বদা প্রলয়ে ।
মম অবর্তমানে, সততঃ মম কলনড়ে ,
গোপনে ঘুণ ধরে, ভবিষ্যতের জড়ে !
প্রজ্জ্বলিত আলোক উজ্জ্বলে অতিভাল ,
প্রতিষ্ঠারে ছারখার ! করি- এলোমেলো ।
দুঃখে যারা চায় ক্রান্তি, নিস্ত্রাণ, প্রতিকার ,
ক্ষমতায় করি তারে জড়-মূলে সংহার ।
জগতে ক্ষণপ্রভা, দেখাই ছলে শোভা ,
আলেয়া এ রূপসী দীপ্তি ,-চমক আভা !


উদর যেন ধামা !সব গ্রাসীয়া করি জমা ,
হিতে সারি ক্রূরতা, নীতিধর্মে নয় ক্ষমা !
মোর চাল-চরিত্র ,দ্বন্দ্ব-লুট-ক্ষয়-হিংসা,
ন্যায়ে পক্ষপাত, অধর্মে, সারি মীমংসা ।
নীতিরে মসৃণে প্রলেপ দেই,- খাতিরে ,
মুখ্য খেল মম, ভাবনা-চিন্তা,- সাতিরে !
চাই, অশান্তি-দুঃখ-ক্ষত, ভরা, কান্তি ,
তবু আভাসে জানাই , আমি রূপবন্তি !
আরো শোভাকরি সহজে বসি কোলে ,
তোমরা আদরে মোরে ধরিবেই গলে !!


হীরা ছাড়ি কাচে মোহ ,মাতমে সঘনন
আপাততঃ মধুতে ডুবে কলহ চিন্তন ।
প্রিয় কুটুম মা-বাবা সব ভুলে একাকার
বস্তুবাদে দিনঢলা, যৌবনে মত্ত অপার ,
ঋণজালে জর্জরিত, আকাঙ্ক্ষা ভরা নেশা
আগে না কূলকিনারা অর্ধ বিক্ষিপ্ত দশা ।


(ইং-১২-০৪-২০১৮)
হিন্দী শব্দ,- নফরত্ ঘৃণা, করিস্মা > চমৎকার, সাতির > ছলনাময়ী, দুষ্ট ,