প্রতিদ্বন্দ্বী, চিরশত্রু ! অকালে তার বাঁচায় প্রাণ
নির্ণেয় মৃত্যুর ঘোরসংঙ্কটে যে দেয় জীবন দান ,
উপকারীর স্বার্থ শুধু সার্বজনীন হিত কর্মে
দেশের নিঃস্বরা বাঁচুক খেয়ে পরে জীবন ধর্মে ।


বামেদের কাছে প্রমাণ আছে সে নীতির শ্রেষ্ঠতার ,  
উদ্যমে তাঁর চেষ্টা উত্তম নীতির প্রচার প্রসার ।
তবু জাত শত্রুরে তার দুর্দিনে- বক্ষ পাতা
তারা বুঝিল না তাঁর উদারতায় কত মহানতা !


কি কারণে বিভেদ বাঁধে কার কত দোষ
উপকারী, উপকার পায় তবু কেন রোষ ?
কাল ছিল সম্রাট ! আজ ফেরে দোরে দোরে
কি বলতে কি বলে ! এখন সে জ্বরের ঘোরে !
এখনো সময় আছে, ডাক অসময়ের বন্ধু
তাঁরা বিশ্বে উজ্বল প্রভামণ্ডিত চিরভাস্য ইন্দু ।


সবে বলে, শেষ কালে , সততার হবে জয়
আশ্চর্য্য ! কাটেনি তাদের গ্লানি সংশয় !
আসেনি সে কাল নির্মূলে, স্ববংশে ক্ষয় ,
হিংসা বিদ্বেষ ভুলে পুনঃ পবিত্র করো হৃদয় ।


(ইং-১২-০৬-২০১৯)
২০০৪- এর পূর্বে দেশে বিজেপির শাসন ছিল । ২০০৪-এ বামপন্থীরা ৫৯ আসন, কংগ্রেস ১৪৫-টি আসন, বাকি য়ুপিএ মিলে ২৭২ বহুমত পাস করে। বাম পন্থীরা দেশের হিতে কংগ্রেসের নবজীবন দান করে । মিনিমাম পলিসির শর্তের পর সাড়ে চার বছর রাজ চলে । তিন বড়ো কাজ হয়,১- সুচনা অধিকার, ২-মনোরেগা, ৩-আদিবাসীকে বন থেকে উচ্ছেদ চলবে না । পেট্রোল ডিজেলের দাম কমে (৩৭.৮৪ লি.পেট্রোল) । রেল প্রথমবার লাভে যায় , দ্রব্যমূল্য বাড়ে নাই । নুতন চাকরীর পথ খোলে । কংগ্রেস অমেরিকার সাথে পারমাণবিক সন্ধি, মিনিমাম নীতির বিরুদ্ধে করে বিশ্বাস ঘাতকতা করে ! সেই গত ভাল কাজের সুফলে পরের নির্বাচনে কংগ্রেস বহুমতে আসে, পাঁচবছর শাসন চালায় । পরপর দুই শাসন কাল সে পরাস্ত !
সেই কংগ্রেসের বর্তমান এ হেন দুর্গতিতে আমার এ কাব্য ভাবনা ।