রক্ত-মাংসে-মজ্জায়, অনড় ,
দূর গভীরে গ্রথিত সে শিকড় !
মানুষের পরিচয় কি কি তার ,
দেহে জড়িত জাতধর্ম সবার ।
বেষ্টিত উপাধিরা বদ্ধ সেথায় -
ঘষিলে ঝামায় যাবে না হায় !

উঁচ-নীচ, ভাগ্য অঙ্কন মাথে ,
বংশ পরাক্রম চলে সাথে-সাথে ।
সমাজে একদা তার দরকারে
মানব লয় এই ব্যবস্থা আদরে ।


বিজ্ঞান হ’ল উদয়, জ্ঞান জানা -
মানব হয় বলবান, মুক্তমনা ।
সে চায় -নামগোত্র হালকায় -
করিল বিদ্রোহ- পেতে উপায় ।
বহুদিন পর- পেল ‘স্নেহা’,পার -
ঝেড়ে ফেলে সব পদবী তাঁর ।


(ইং-১৫-০২-২০১৯)
*-চেন্নাই-(তামিলনাড়ু) ৩৫-বর্ষীয়া, বেলুর নিবাসী 'স্নেহা' , পেশায় উকিল, নয় বছর কোর্টে সংঘর্ষের পর জয়ী হন । তাঁর নামের শেষে কোন জাতি, ধর্ম চান না ,তাই আর লেখা হবে না । তহসীলদার তাঁকে প্রমাণপত্র দিয়েছেন ( নো কাষ্ট, নো রিলিজিওন, তাঁর নামে কোন কালম থাকবে না।) ভারতে তিনি পেলেন প্রথম এরকম নাগরিক প্রমাণপত্র ।
*-স্রোত >ভোপাল, ম০ প্র০ "হিন্দী পত্রিকা"দৈনিক-(ইং-১৫-০২-২০১৯) ।