কারোর যদি বাঞ্ছা-চক্রান্ত, “সভ্যতা করিব ধ্বংস”
দল হ’লে ভারী, রথী-মহারথী, সাথে পায় সহানুভূতি ,
কী রূপ নেবে এ ধরিত্রীর- পবিত্র ক্ষিতি ,
যদি আবার সে রাজক ঘুরে-ফিরে আসে রূপে কংস ?
সৎ হয় ছুঁমন্তর ! যপতপ-হোম উত্তম কৃষ্টি-আচার ,
সমূলে মুড়ো-নেড়া- সমতা ,ভাইচারা- সুসমাচার ।
বর্বর যুগে প্রাধান্য ছিল, “লুটো আর খাও”
কেবল যারা হিংসায় প্রধান -তারাই ‘উৎরে যাও’।


আবার দেখি ঈশান কোণে সে কালো মেঘ ,
শোঁ-শোঁ আওয়াজ- গর্জনে তার তীব্র গতি বেগ ।
শঙ্কিত চিত্তে সাধুজন- নদী ঘাটে করেন তর্পণ
আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা ঘরে বসে করে- ক্রন্দন ,
কেন আসে এ প্রলয় কাল, উৎস এর কোথায় ?
সবার একই রূপ-ছবি, কিছুই আসে না মাথায় ।


(ইং-২০-১২-২০১৯)