ধনী লোকের মস্ত বড়ো এক কুকুর ,
পোশাক সব ঋতুতে পায় সে প্রচুর !
জরির পাট্টায় গ্রীবা করিয়া বন্ধন ,
হিরণ্যহার শোভে তার কণ্ঠাভরণ !


রাত দিন যোগাড়ে ছ’টা লোক
ছ’’টা ঋতু করে কুকুরকে তদারক ,
গরম জলে ধুয়ে, আতরে মেখে
আদর-যত্নে তাকে সারাক্ষণ রাখে ৷


নূপুর ধ্বনি তুলে কুকুর যখন পথে ঘোরে ,
ভয়ে ভীতু জীব রয়, দূরে সরে ৷
কুকুরের গর্বে মালিক হয় গর্বিত ,
ভাবনা, না-জানি, মান বেড়েছে কত !
এ-তো কুকুর নয় ! যেন বাঘ পোষা ?
শুধু দম্ভ ভরাটা, তার মনের আশা ৷


একদা কম পড়ে কুকুরের খাবার
প্রায় কেজি দুই মাংসের খুব দরকার ,
বিদেশী গাড়ী করে কুকুরকে নিয়ে
দল বলে ভৃত্যরা চলে গাড়ী হাঁকিয়ে ৷


হাটে পেল এক মাংসের দোকান ,
বাঁচা মাংস ছিল কেজিদু’ পরিমাণ ৷
বিক্রেতাকে থানাদ্বারসম আদেশ হাঁকে ,
গোটা মাংস তুলে দেওয়া হোক তাকে ?
ওরা খাওয়াবে মালিকের কুকুরকে
সবটা মাংস দিতেই হবে, ক্রেতাকে ৷


দোকানী হাত জুড়ে, কাতরে বলে ,
এক গরীব দুর্বল যে, সহায়-সম্বলে ;
অতি সকালে সে, করে গেছে বায়না
এ মাংস তার, এখন দেওয়া যায় না ?
আজ, ঐ গরীবের মেয়ের পাকা দেখা ,
ওর কাজেতে, এ মাংসটুকু রাখা ৷


“কী এত আস্পর্ধা তোর? ব্যাটা- !
অভুক্ত রবে আমার প্রভুর কুকুরটা ?
বদলে তুই নে, দামটা আরো মোটা ,
এখন মিটা ? এসব বাজে ল্যাঠা” !


দোকানী বলে, চাইনা বেশী ধন
এখানে বিশ্বাস, হতে দেব না হনন !
তবু মানে না তারা ছিনিয়ে নিতে চায়
দোকানী পড়ে মহা জ্বালায় !


চারি পাশের লোকজন আসে ছুটে
ঘটনা স্থলে তামাশায় তারাও জোটে ,
ক্রেতারা কোন ভাবে হয় না নরম-
বার-বার দেখায় বেশী পয়সার গরম ৷
শেষে সবার মাথায় আসে উপায়
বিদেশী গাড়ীকে ধরে উলটে ফেলায় !


(ইং-২০-০৩-২০১৬-রবিবার)