মৌচাকে ঘা পড়িলে মধুকর যারা-
সমূলে সাড়া দেয় দল বেঁধে তারা ৷
হয় নোট বন্দিতে এমনি হাল ,
হাল-বেহাল যে- নোটেতে সকল ;
দেমাকে ধারদার তারা পায় পার -
যোগাড়ে চালিয়ে নেয় ভরমার যারযার ৷


কারা যেন অনেক খুশী, করে অট্টহাসি -
“এবার কালো নোট, হবে যে সব বাসী”!
আমি বলি যা’ ভাব তা’- না-
অনেকে পাবে লাভ,-পুরো  দু’শো আনা ৷


কোন ভিখারী পায়, পাঁচশত বা হাজার নোট,
ধর্মদ্বারে নোট পড়ে অগোন্তি যে মোট !
মন্দিরে নোট গুনে পায় না সবুর-
হাড় ভাঙ্গা কাজ করে না আজ, অনেক মজদুর-
কর্মশেষ, এখন বেশ শোয় তারা দিনদুপুর-।
মাহাজন আর পাওনার দ্বারে, করে না ঘুরঘুর ;
বিন তাগিদে তার কাছে-
বড় নোট সব দেয় গুঁজে ৷


ঘরেতে যে পয়সা নাই -
অনেক খরচা বাঁচে তাই ,
বিয়েতে এখন বাজনা কম-
খাওয়ায় শুধু আলুর দম ৷
গাড়ীতে না চড়ে-চড়ে, হয় বড়ো ব্যায়াম ,
বিনা ইন্ধনে রাস্তয়- পাইনা কোন জাম ৷


অভাবে রোগ ব্যধি ধরে নাকো নানা -
রাতের ডাক্তার জাগা- তার এখন মানা ,
অরুণাচলে যে শুরু- বস্তু বিনিময়-
“গিনীজ বুকে”এবার ভারত- হবে উদয়!
দপ্তরে অতীত মত ঘুষ যে অচল-
অনেকে হাত ধোয়- দিয়ে গঙ্গাজল !
অমিল খুচরোয়-দাম কিছু কম ,
কতো যে সুখ পাই মরমে-মরম !!
(ইং-0৩-১২-২০১৬)