রাহু আর কেতু আপন দু’ভাই ,
মাথার উপর ছিল ওদের ঠাঁই ৷
হঠাৎ গ্রহণ লাগা কালে -
তারা ভূতলে ছিটকে পড়ে সমূলে !
এক পড়ে কাদায়-
অপরে পড়ে ছাইয়ের গাদায় !


কোলো রং হয় তার দাদা
ছোটোর রূপ ধরে ধবধবে সাদা !
এখন আর স্বভাবে মেলে না-
রং বিচ্ছেদে পায় তারা যাতনা ৷
কলো চায় মিশিতে সাদায়-
সাদা ঘেন্নায় দাদারে কাঁদায় !


দাদা বলে, আমার কী দোষ ?
আমি আগেও ছিলাম রয়ে অঘোষ !
আমাতেও ছিল অসীম শক্তি-
দেবালয়ে সবে করিত ভক্তি !
জনতন্ত্র, রাজনীতি আর নেতা-
তারা মানে অমাকে দেবতা !


আমিতো করি সবারে বড়ো -
এখন কেন দুষো,-আর প্রাণ কাড়ো ?
আমি কত করি কঠিন কাজ-
আমি পূজিত সমাজ মাঝ !


আমি দপ্তরে কত পুণ্য সারি
কতোর আয় বাড়াই উপরি-উপরি ৷
এখন যা- স্থান নেই ব্যাঙ্কে -
আমি নাকি বিপুল পরিমাণ অঙ্কে !


তবু বলে যাই- মনে রেখ ভাই ,
আর যা লব তাই- আমি সবে শোনাই ;
আমায় রোখা অত সহজ না ??
যত দিন পকেট- থাকিবে ঐ জামা !


সব ভোটে ঐ নেতা -
খাতিরে দেবে আমায় পাত্তা ৷
আমার স্বাদ! জিহ্বায় আছে যে লেগে ,
তাইতো তারা মোর আশীর্বাদ মাগে !
একে, দূর !দূর !-- করে তাড়ালে -
অপরে আদরে নেয় মুঠোপুরে, আবডালে !


কতদিন আর ভাবিবে পর ?-
কোলে তুলে নেবে অতপর ৷
তোমরা চিরস্বভাবের দাস !
মোর সথে অবশ্য করিবে বসবাস ৷
তাইতো পুঃন পাব আপন ঘর -
আমি যে অক্ষয় ! চির অমর !!!
(ইং-০৪-১২-২০১৬)