হে নীরো ! কলোরে করিয়া রূপে ধলো ,
পুঁজি জড়োর উপায় পেল -
নোট বন্দিরে ধরিয়া বাহানা ,
আবার ওরাই তোমারে দেখায় আয়না !


পুঁজিরা বড়ো বজ্জাৎ !
সময়ে অসময়ে করে মোক্ষম আঘাত -
এটা পুঁজিতন্ত্রের স্বভাব জাত,
আর আছে তোমার হাত !
কেন হয় তাহা জান আজ ?
এবার শোন কার্ল মার্ক্স ৷


কার্ল মার্ক্স দিয়েছেন ব্যাখ্যা,
পুঁজির সূত্র পেয়েছে আখ্যা-
সসাগরা বিশ্ব জুড়ে-
সত্যটা তাই নিয়েছি ধরে ৷


দশ প্রতিশত পুঁজির লাভে
পুঁজির গতি অবাধ হবে ,
যেখানে খুশী পুঁজি যাবে
বিনা দ্বিধায় পুঁজি বহিবে ৷


যদি হয় বিশ প্রতিশত লাভ,
বুঝিয়া বাজারের ভাবভাব-
পুঁজির বাড়ে উৎসুকতা-
উৎসাহে আসে ভিন্নতা,
চলনে আসে প্রাচুর্যতা ৷


পঞ্চাশ প্রতিশত লাভ যদি হয়,
পুঁজি তখন স্থির নয়-
পুঁজির রূপ উদণ্ড-
বাঁধায় লণ্ড-ভণ্ড !


যদি পুঁজির লাভ শত প্রতিশতে,
পারে পদতলে দলিত করিতে-
মনুষ্য সৃষ্ট সমস্ত আইনকে,
খুঁজে সারে সে নব উপায়কে !


তিনশত প্রতিশত লাভ হলে-
সমস্ত অপরাধের শঙ্কা ভুলে-
দুর্দম পুঁজির সাধ্য !
নিজ প্রভুকে ফাঁসি দিতে,
পুঁজি হতে পারে বাধ্য”!


(ইং-০৭-০১-২০১৭)