নিরুপায় শয্যাশায়ী এক মুমূর্ষু রুগী
সে, হতে চায় কিছু সুখের ভাগী ,
যদিও সময়টা, যমযাতনা তখনে-
তবু বাঞ্ছা একটু সুখ পেতে মনে ৷
হৃদয়ে চাহিদার অতি প্রয়োজনে
জাগে মনের কোণে, ক্ষণে-ক্ষণে ,
একমুঠো তাজা খোলা হাওয়া
এ যেন তার জীবনে, পরম পাওয়া ;
শিহরে যেন বহে শীতল পবন-
উন্মুক্ত থাক সেথায়, বদ্ধ বাতায়ন ৷
দিগন্তের ঐ আঁকা রাঙা, বলয় রেখা
গোধূলি বেলার উড়ন্ত আবীর মাখা -
দিন শেষে মনেতে জাগে প্রতিক্ষা ,
সাঁঝেতে যেন যায় গো এমনি দেখা ৷
নিকট বনে পাখীর চপল কুজন
অতি সুখদ করে তার সে বাতারণ  ;
শুক্লপক্ষের কাঁচি মত আকাশের চাঁদ ,
কত যে মনে ধরে অজানা আস্বাদ ৷
জোনাকীরা সাঁঝে ভরে শোভে বনানী
আঁধার, অপরূপে সাজে রজনীর ধরণী -
এ চির সুন্দর ধরার বুকে, মহাকাল !
সচরাচর নহে নির্মম অথবা বেহাল ৷


(ইং০৩-০৪-২০১৭)