প্রখমে আসরে মাপ চেয়ে বক্তব্য শুরু করছি, কারণ কথাটা আগে ও আসরে রেখেছি । (ছন্দ-নিয়মের কবিতা কক্ষনো হেয় করা নিয়ে ভাবি না ।)
একটা কথা বারবার উঠে আসছে । কাঁটার মত মনে বিঁধছে !
মাকালফল, উপরে সুন্দর আর ভেতরটা ! সাপ যখন লয়ে চলে দেখতে ভাল, তার আচরণটা ! ঝর্না,- অপরূপে জলধারা ঝরে তার সুন্দর ধারায় , নদী হয়ে যখন পাড় ভাঙে ?
তেমনি সুর-তাল-ছন্দ-লয়-মাত্রা-পর্ব-যুক্ত কাব্য যদি সারগর্ভ শূন্য , দুরূহ-দুর্বোধ্য , হয় ! সমাজে বিশেষ কাজের নয় , নিছক হাল্কা মনোরঞ্জনের সাধন মাত্র তবে কতটা উপকারে কাজের ?
এখন যদি নিয়মই কাব্যের মূল্য,মন্ত্র,-মূলরূপ তবে সুউচ্চারণ যুক্ত সংস্কৃত দেবমন্ত্রে সুব্রাহ্মণ ছাড়া কোন ধর্মীয় কাজ- বিকল্পে সারা, কতটা যুক্তিযুক্ত ! বিবাহ, শ্রাদ্ধ, গৃহপ্রবেশ, পূজাপাঠ , অন্নপ্রাসন, হাতেখড়ি.... ইত্যাদি, ইত্যাদি । অধুনা যুগটা অতি ব্যস্ততম যুগ, সকলে সময় বাঁচিয়ে সহজে কাজ উদ্ধার করতে চান ; কেন না ব্যাপক জ্ঞানের প্রসার ঘটেছে ।  সব পড়া ও জানা অসম্ভব ব্যাপার ।
আমার মতে নিজ লাভে, সমাজের হিতে যদি সহজ সরলে সংক্ষেপে কাজের জিনিস শ্রুতিমধুরে আয়ত্ব করা যায়, ক্ষতি কি ?
এক গূঢ় বন্ধনে যেখানে মনের বিকাশ বাঁধো-বাঁধো ,তার পরিবর্তে যদি মুক্তচিত্তে অপূর্ব ভাবধারায় কাজের কথা ,সম্মুখে কেহ এনে দেন তাহা কি ফলপ্রদ হবে না ?
পিঠার স্বাদ নিয়ে কথা । আকৃতি, আয়তন, পরিসীমা, ওজন নিয়ে নয় ! আগে ফোঁড় গুনে গুনে খাওয়া নয় ।
সেকরা অলংকার তৈরী করেন, যিনি উঁচ্চকোটির শিল্পী তিনি খুব চাহিদার পাত্র ! সামান্য সাধারণ কারীগরের ও তো কাজ চলার উপায়- চাই । পুরাতন নিয়ম সবই থাক , কাব্যে নূতনের আগমন হউক, সময় অনুযায়ী সহজমত পথে- মঙ্গলার্থে । যার দ্বারা সকলে আপন কথা ব্যক্ত করতে পারেন । ধন্যবাদ, সুধীজনে অশেষ শুভেচ্ছা ।