সে মহিষ, বড়ো নিরীহ পশু ,
সহজে দেখি না রাগতে -
ঘাটালে তারে, বেয়াড়া আশু ,
যারে তারে চায় গুঁতোতে !


চাষবাস পশুটি উত্তম পারে -
বোঝাই গাড়ী টানে ভাল ,
বাঁধলে জোয়াল তার ঘাড়ে -
সর্ব সমস্যা মিটে গেল !


তাকে সাজাও খুব আনন্দে -
শিঙ্, ঝুঁটি, লেজ, মাথায় ,
আরাধনায় মাতো সকাল সন্ধ্যে ,
ফুল মালা পরাও গলায় ।


ধান দূর্বা চন্দন রাখ, পাদপূজায় ,
সেথা প্রতি মন্ত্র উচ্চারণে ;
লিপিবদ্ধ করো মনের খাতায় -
স্মরণে রাখ তা’ ভক্তি-মনে ।


লক্ষ্যে জান, কী খবর জানায় -
পরম প্রাপ্য যা’-তথায় ,
যদি না সন্তুষ্টি এ হেন প্রথায় -
বাজাও বীণ্- পেতে জয় !


যদি কর্মে খর্ব, না ফেরা মর্মহুশ ,
উৎসাহে, হতে নাই ক্ষীণ ;
মহিষে পেতে হলে বেজায় খুশ !
এবার নাচো, তা,-ধিনা-ধিন ।


(ইং-১৬-০৫-২০১৮)
*-কাব্য সার > এখানে কাব্যে আর একটু ভাব লুকিয়ে আছে, কেহ যদি- সুকর্মী বা উপকারী হয় আর তার ধী-বুদ্ধি, না থাকে , তবে তার কাছ খেকে বেশী আশা করা বৃথা, যতই চেষ্টা করা হোক না ! মোষের আগে বীণ্-(বীণা) বাজিয়ে লাভ নাই । শেষে তাই বলা ।