ভারতবর্ষ অনেক নামে আদির সনাতন দেশ ,
হেথা, জাতি-ধর্ম-ভাষা-আচার-কৃষ্টির সমাবেশ ।
এককালে জানিত এটাই বুঝি হয় গোটা পৃথিবী
স্বর্গ-নরক-পাতাল ও হবে, অনত্র কোথাও সবি ।
কারো ক্ষমতা ছিল না এক সীমানায় তাকে বাঁধে ,
হাজারো টুকরো, টুকরো, রাজ্যে ছিল বিভেদে ।


বাইরের যারাই আসুখ, হয়তো ওরা লুটেরা -
নয় তারা ছিল ভীষণ অভুক্ত ,- বেসহারা !
এই দেশকে মানে মা, অন্ন আর আশ্রয় দাতা
বড়ো ঠাঁই পায় শান্তির দান, মাথাগোঁজায় হেথা ।
তবে বড়ো আনন্দ, মানুষ রূপে মিলে থাকা ,
সর্বহিতে, জনকল্যাণ কানুন মান্যতায় চাই পাকা ।
বিভেদ কেন হবে না ? সুধরানোর উত্তম পন্থা ,
তাই বলে মূর্খের মত ধ্বংসের আচরণ না অযথা ।


কেউ বলে, সর্বদা আমার ধর্মই রহিবে- সচল
তবে চলে না পেট ,আয়ের কারখানা ও কল ।
সেথা এক থালায় এক টেবিলে সবাই খাই ,
না অন্য থালা বা রান্না, আলাদা আলাদা পাই ।
যারা বায়না করে ওরা ধর্মনিপক্ষের অযোগ্য ,
সত্য, তারা অন্য যুগের, ভাইচারা ভাবে দুর্ভাগ্য ।
বিভেদের সুর কমেতে, সবে গণতন্ত্রে পায় সম্মান ,
সবার উপর পরম কর্তব্য, মান্যতায় সে সংবিধান ।


(ইং-২৫-০১-২০২০)
*-একথালা > কেন্টিনের একই রকমের (সাইজের) থালা ।