স্বধীনতার পর-পর, সে- কালে
জনগণ ছিল ভীষণ নাজেহালে !
উপায় খোঁজে, দল যায় হিমালয় ,
এক সৌম্য সন্যাসী ধ্যানমগ্ন পায় ।


আদরে আনে অশান্ত পরিবেশে ,
হে দেব, দেখাও শান্তি- এ দেশে ।
সবে জানায় ,অজস্র দুঃখ কথা -
কত না ঝুটঝামেলা মাথা ব্যথা !
চিন্তায় ,রক্তচাপ আর ডাইবিটিস্ -
ভয় করে খেতে !কাজু কিসমিস্ ,
আছে বেশী তাই !খাওয়ায় কষ্টো ;
কারো বা নেই, সে নয় মনে তুষ্ট ।


কেহ জ্ঞানে খাট, অজানা ধরম -
কারো জাত দোষে, দুঃখ চরম !
কারো ঘুষের ধন, সে বদহজম ,
কেহ, রোগে ভুগে-ভুগে,- নরম !


শুনিল সাধু ধৈর্য ধরে ,- সমস্যা -
বলে, রেখ মম ’পর আস্থা-ভরসা ,
সন্যাসী জানায়, দেশ, গ্রহদোষময় -
লাগিবে উত্তম সর্ষ , বস্তায় বস্তায় !
ঘৃণ্য কালদোষে ! দেশাচার মিশে ,
সর্বগ্রাসী রূপ ছেয়ে,- চারিপাশে !


এমন ঝাড়া ঝাড়িব ! আগে বেড়ে -
সব দোষ যাবে- ত্রিসীমা ছেড়ে !
এই সর্ষ ছড়াও, সর্ব দেশ জুড়ে ,
চরম উন্নতি হবে ,-দেশ ভরে ।


মনে মানে সাধুকে, আস্থায় অগাধ
সবে নিশ্চিন্তে করে কালাতিপাত ।
গত হ’ল সত্তর বছর, ফল নিঃস্ব-
আরো সমস্যা বাড়ে,-অতি অসহ্য !


সাধুর সন্ধানে পুনঃ, ধায়- হিমালয় ,
সাধু ধ্যানে,পরানেত্রে জানিতে পায় -
সবে হিতোপদেশে, বিস্তারে- জানায় ,
ছিল পুরো সর্ষপ ,ভরা ভূতময় !!
কারো সাধ্য নেই এ দুঃখ দূর করা -
সর্ষই যখন শুদ্ধ নয় ! ভূতে ভরা !!


(ইং-২৭-০৪-২০১৮)-ব্যাঙ্গালোর