আদিতে ভাব প্রকাশে ,ইশারা, আওয়াজ, কেন্দ্র করে ,
নানা শব্দের উদগমে, আলোড়ন আসে জগৎ পরে ।
বোলচালে, স্মৃতি ধারায়, শব্দজ্ঞান ধার্য্য কার্যে, সহজ
প্রতিটি সৃষ্টি, সে তো সবার বোধগম্যের আদি উপজ ।
প্রাচীন ভাষায় কিছু শব্দরূপ হয় জ্ঞাত, যুগ-যুগ ধরে ,
সবে মেনে নেয় সহজতায়, কাজে-কর্মে এ-সংসারে ।


সিন্ধুনদ তার বশে, দেশবাসীর নামকরণ, কালক্রম
বিশেষ নাম, আস্থাবলে চিরস্থায়ী হয়- জনম-জনম ,
নাম হিন্দু ,যার নাম ধর্মমান নয় !বাস্তবে একবিন্দু ।
এর আগেও ডাকা হত কত নামে, তা’ অতল সিন্ধু ।
আদি সাম্যবাদে ছিল, কাজ-কর্মে, ব্যবহারে সাম্যতা ,
নিত্য, নিজ-নিজ, রীত-ধর্ম মাঝে কত বিবিধতা ।


রুচির চাহিদায়, খাদ্য গ্রহণে, সাকাহারী, মাংসাশী ,
বসবাসে গৃহ মাঝে গৃহস্থী, বন মাঝে সুধী-সন্ন্যাসী
পশুপালক যাযাবর, সর্বহারা, শ্রমিক আর চাষী ,
কারীগরী নিপুনতায় বিরাজমান স্থায়ী নগরবাসী ।
জলে-স্থলে, এক নাম হিন্দু , সাকার, নিরাকার ,
অগ্নি উপাসক ,প্রকৃতি পূজক , ভিন্ন ভিন্ন অবতার ।
সহ-অস্তিত্বে পাশপাশি বাস হিন্দু , বন্ধুত্ব একতার ,
সে হিন্দু, বিভেদের মাঝে খুঁজে পায় স্বাধীনতার ।


হোক না বসন-ভূষণ রূপে, শ্বেতাম্বর বা দিগম্বর ,
অর্চনায় পর্বত-সাগর, মঠ-মন্দির অনেক ঈশ্বর ।
সর্ব আরধ্য দেবতা উপাসক হিন্দু ,আদি সনাতন ,
স্বাধীনের উদ্ভূত মেধাধারী চিরমুক্তিকামী মন ।
শান্তির আনন্দ ধাম ,জগৎ প্রসারিত মুক্তির স্বাদ
তেত্রিশকোটি দেবতা ! না মাঝে অসহিষ্ণু সংবাদ ।


বাদ সাধে শোষণের যন্ত্রপোষা দুর্বৃত্ত হানাদার ,
কালে কালে হিন্দুরে ছোট করে দেখা বারবার ।
এ দূরগামী জ্যোতিপুঞ্জ, যুগ যুগ ধরে প্রতিয়মান ,
সর্বসঙ্কট-বাধা দূর করে হিন্দু গর্বে বিরাজমান ।


(ইং-০৬-০৫-২০২০)
হিন্দু কোন ধর্ম না- বা এক ঈশ্বরের মান্যতায় নয় , সাকার নিরাকারের উপাসক,  হিন্দু , “আদি সনাতন”-সর্বধর্মের উৎস, সবার সার । হিন্দু বিবিধতার মধ্যে একতার বাস । আস্তিক, নাস্তিক সকলকে নিয়ে চলা, হিন্দুতে ব্যাপক স্বাধীনতা , মুক্ত বিচার, সব পথ খোলা- ঊড়ন্ত বিহঙ্গ ,প্রকৃতির বন্ধু-সখা । বসুধৈবঃ কুটুম্বকম্ ।