ভাবনা কত আবেগী হয়, জানা ছিল না ,
মনে তারে পুষে রাখি , বলতে ছিল মানা ।
হঠাৎ কি করে , কি যেন হয় !
কথা তারা সুযোগ বুঝে, ফাঁস হয় নির্ভয় ।


ফুঁটো টিনের থাল, আলুনী সে পান্তা-
যেমনি বসেছি খেতে ,
কোথা হতে এক কানামাছি পড়ল এসে পাতে !
খপ্ করে হাত বাড়িয়ে দূর করি তাকে ।
যত্ন করে জল দিয়ে ভাতগুলি মেখে
মুখে পুরি গোগ্রাসে, চারিপাশে দেখে ।


একটা বিড়াল ইঁদুর তাড়িয়ে
লাফ দিয়ে পার থালা ,
তোর, পাতে কী- দিল পা ?
শোনা গেল মায়ের গলা ।
আমি বলি, না । পা দিয়ে সে যাক না ?
ওর মুখটা আসল যা । মা, তুমি শান্ত হও
ছাড় , যত্তো ঝুট- ঝামেলা ।


বাবা বলেন, খেয়ে নেরে তুই ত্বরা
বাইরে গরু, ভাঙছে যেন বেড়া ।
ডাগর ডাগর ঝাল বেগুনের চারা
হ’ল বুঝি সব নেড়া !
ওরা বাঁচবে না ,শীঘ্র গরুটা তাড়া !
বাবার পক্ষঘাত, বিছানায় সদা পড়া ।


করার কিছু নাই ,
মা বলেন, আসবে সুদিন
ধৈর্য্য ধর তাই ,
দেখিস, ঘর করিবে আলো !
রঙে আলতা বউ পাবি ,
যাবে দুঃখ । ফিরিবে দিন ভালো ।


(ইং-০৩-০২-২০২০)