বাঞ্ছা, ধরণীর বুকে বাঁচা, নিয়ত সুখে ,
শ্যামলা, ধরিত্রীর কোলে হাসি মুখে ।
শান্তির-দূত, শক্তিতে চিরকাল হীন ,
সে বলাকা, মুক্ত স্বাধীন, চায়-সুদিন ।
রাখে না জড়োর ,খায় না কারোর ,
তবু নিরাপত্তার শূন্য, তারা- সুখবর !
মনঃকষ্ট পেয়ে, কত যে ভয়ে-ভয়ে ,
সাধারণ বাঁচা তা’ও ক্ষয়ে-ক্ষয়ে !


কেন এত জ্বালা ? পায় তারা- মেলা !
শুধু চাওয়া, স্বস্তিতে থাকা- নিরালা ।
স্বার্থের টানাটানি, কেবলি রণারণি,
থরথর কাঁপিছে, অশান্ত এ ধরণী !


কারা আনে কুক্ষণ ? সততঃ ধ্যান ,
কেন সেথায় নিষ্প্রভ, বিজ্ঞের জ্ঞান ?
যদিও নিরবধি ,বেষ্টিত জ্ঞান-নিধি -
উজ্জ্বল জ্যোতি, ভরা সে পরিধি !
কি চায় বিজ্ঞ ? বসিয়া মূঢ়সম অজ্ঞ !
কেন প্রতিরোধ নেই ? অশুভ যজ্ঞ ?


রবি অবিরত দানিবে আর, কত-কত ,
করিবে পবিত্র ধরা, আরো সুশোভিত !
সে সুপ্রভাত, তারে করে- পদাঘাত !
মানবে মানবে দেখি, দ্বন্দ্ব- সংঘাত ।
হায় মানব ! এ কেমন সংযোগ ?
পেয়ে ও স্বর্গ ,ডাকো দুর্যোগ !
দু’পায়ে দলো ,নিরীহ কোমল ঘাস ,
হতাশা, আপসোস, নিয়ে বসবাস !!


(ইং-০৮-০৩-২০১৮)