সন্ধ্যে হলেই ভূতের ভয়ে হই যে কত লাল !
          সে দল, শিশু-বৃদ্ধ-আবাল ,
ভূতরে করি দোষারোপ ,পাড়ি অহেতু মিথু গালি ,
         তাও বিনা চিন্তায় খালিখালি ।


আচরণে বদ্ কে না ? সভ্য-অসভ্য আছেন নানা
            সাধু কত অন্যায়ে সেয়ানা ।
মানুষ ক্ষতিয়ে দেখে না, নিজ সুর-তাল-বাজনা ,
           শুধু যারে-তারে দেয় গঞ্জনা ।


ধর্মধামে পায় না জুৎ, দিন দহাড়ে বা রাতে-ভূত ,
            মান্যে ভূত, প্রভুনামে অছুঁৎ ।
ধর্ম মানে, বিপদে আপদে মিলেমিশে ভাই-ভাই ,
            লুট,হত্যা করে না যাচ্ছেতাই ।


বিজ্ঞ মানুষের মনে কারণে অকারণে সদা খুঁত-খুঁত-
             মরে কে চাইবে হতে ভূত ?
যুদ্ধ, দাঙ্গা, মারণাস্ত্রে ঘিরে, ভূতেরা রয় না পড়ে ,
            ঔষুধ-পথ্য লাগে না জ্বরে ।
মানুষকেও ভূত তার যোগ্যতায় করায় মাথা নতঃ ,
            তুলে ধরে সে আদর্শ যতো ।


*-মিথু > মিত্যা , ভুল ।
  (ইং-১৭-০৩-২০২০)
“দারুন সুন্দর কবি কল্পনা আর প্রকাশ ।” > সঞ্জয় কর্মকার -
১৭/০৩/২০২০, ১৮:৪৩ মি:
কাব্য, “ভূতের দেশে” সেখানে মন্তব্যে প্রভাবিত হই ।
সম্মানীয় প্রিয় কবিকে স্মরণ করে পুনঃ “অদ্ভূত ভূত” কাব্যটি লেখা । আজ তাঁর নামে কাব্যটি উৎসর্গ করিলাম ।