মৃত্যুর পর ‘ভোম্বল’, যম দূয়ারে চায় কৈফিয়ত ?
কোন সে কারণ ? এত রাতে তাকে ডাকা হঠাৎ !
বৈকুন্ঠে দেবেরা তো সেজেগুঁজে দেখছি মহাবাবু
আমরা মর্ত্যে মরতে বসেছি , জোটে না আর সাবু ।


জ্বালাই যখন দিবে, মনস্থেই ধীর-স্থির , দিনরাত ,
ক্ষণ সুথে থাকতে দাও না ফেরাতে বাধা বরাত ।
একটু দয়াদাক্ষিণ্যে অশুদ্ধ হবে কী মহাভারত ,
কিছু সাহায্যে কী শেষ হবে তব অফুরান আড়ৎ ?


অবিচলিত যম কথা বলেন কম- এটা তাঁর ধরম ,
তাই জীবে দিতে চান জীবন-শিক্ষা, কাজে পরম ।
গোলা ভরে কত আর দেব ,আলো-জল-বাতাস ,
আছে বিদ্যা-হাত-পা, অকাজে খেল বসে তাস ।
শুধু শিখেছ জাত-জাত হিংসা, লাঠালাঠি মারকাট ,
ভরা দিক, দ্বন্দ্ব রেষারেষি ঘৃণা, রাস্তা-বাজার-হাট ।


তোদের গণতন্ত্রে খাই প্রতিনিধি, তারা ধরে হাল ,
রাশিয়া, চীন তার নীতিকে কেন কর না খেয়াল ?
তাদের বিশাল দেশ, লোক বেশি, সমস্যা ও খুব !
সামান্য কষ্টে, অধৈর্য্যে কেন তোমরা হও ভাবুক ?


(ইং-২২-০১-২০২০)