প্রাণের ভাষা ,মায়ের ভাষা
সে গর্বের ভাষা বাংলা -
তাকে পেতে, চলে সংগ্রাম
বলিদানও দিতে হয় মেলা ।


বহু ভাষাভাষি একই ভারত
তবু বাংলা হয় না মান্যতা
সংগ্রাম ও ত্যাাগের বদলে
দূর হয় বিচার- সঙ্কীর্ণতা ।


উদ্দাম আগ্রহ ও আত্মার টানে
ভাঙিল নিষেধ শৃঙ্খল ,
বাংলা, নূতন সাজে নব জোয়ারে
পেল তার শুভফল ।


আসাম প্রদেশে বাংলা স্বীকার -
অপার বাংলাভাষার গৌরব ,
বাঙালি মাতিল হর্ষ -উল্লাসে
জাগিল যতো মহানুভব ।


(০৬-০৫-২০২২)
আসামের বরাক উপত্যকার বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল আসাম সরকারের অসমীয়া ভাষাকে রাজ্যের একমাত্র দাপ্তরিক ভাষা করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। যেহেতু ঐ অঞ্চলের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ছিল বাংলাভাষী। এই গণান্দোলনের প্রধান উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ১৯৬১ সালের ১৯ মে ঘটে, সেদিন ১১ জন প্রতিবাদীকে শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে আসাম প্রাদেশিক পুলিশ গুলি করে হত্যা করে।
আসামে বাংলাভাষা আন্দলোনে শহীদ স্মরণে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাবনতঃ মনে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই । সমস্ত শহীদদের তালিকা নিম্ন রূপ ।
• কানাইলাল নিয়োগী,
• চন্ডীচরণ সূত্রধর,
• হিতেশ বিশ্বাস,
• সত্যেন্দ্রকুমার দেব,
• কুমুদরঞ্জন দাস,
• সুনীল সরকার,
• তরণী দেবনাথ,
• শচীন্দ্র চন্দ্র পাল,
• বীরেন্দ্র সূত্রধর,
• সুকোমল পুরকায়স্থ এবং
• কমলা ভট্টাচার্য ।
এরপর ১৯৭২ সালের ১৭ আগস্ট আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বাংলা ভাষার জন্য শহীদ হয়েছিলেন :
• বিজন চক্রবর্তী
• ডা. মনীষী দাস
এছাড়াও ১৯শে মে এর বাংলা ভাষা আন্দোলন এর পর দীর্ঘ ২৪ বছর শারীরিক যন্ত্রণার সাথে লড়াই করে ১৯৮৫ সালে শহীদ হন।
• কৃষ্ণকান্ত বিশ্বাস এবং
১৯৮৬ সালের ২১ জুলাই এর দাঙ্গায় শহীদ হন দুজন:
• জগন্ময় দেব এবং
• দিব্যেন্দু দাস।