অনাহারে অর্ধাহারে, লাঠি-গুলি খেয়ে
বাঁচে সংঘর্ষে শ্রমিক তার ভাগ্য জয়ে ,
ধরে ছদ্মবেশ, পলাতক , কত জেলে
কতর ভালে দ্বীপান্তরে নির্যাতন মেলে ।
দেড়শত বছরের লড়াই রক্তঝরা দিন ,
কত কষ্টে তার ফেরে কিছুটা সুদিন ।


কার এত দুঃসাহস ,এই করোনা কালে
পেয়ে রাজপাট তাঁরা, নূতন চাল চালে ?
স্বরাজ শাসকের দেখি মনোভবনা দ্বীন
আটঘন্টার অধিকার করিছে পুনঃ ক্ষীণ ।


ইংরেজ থেকে লড়ে প্রাপ্ত, সে কানুন
ওরা সমূলে উপড়ে করিতে চায় খুন !
জানে না দেশটা না পুঁজিপতির অধীন ,
ভ্রমে শাসক আজি বড্ডো, বিবেক হীন ।
এমত মনোভাব, বিদ্যা-বুদ্ধি হ’লে ধড়ে
অচিরে উঠবেই ঝড়, সারাদেশ জুড়ে ।


(ইং-১২-০৫-২০২০)
*-বহুদিনের সংঘর্ষের ফলে প্রাপ্ত শ্রমিক কানুনে শাসকবর্গ তার অনেক পরিবর্তন করতে চলেছে । কোন কোন রাজ্যে ১২- ঘন্টাকাজ , শ্রমিককে নিয়মিত, (স্থায়ী) না করা , ন্যূনতম মজদুরী না দেওয়া, স্থায়ীকাজে ঠেকা পদ্ধতি লাগু, জীবনদায়ী সুবিধা হ্রাস করা , ইত্যাদি ।