ধারাবাহিক কাব্য, "ভাবনা", তার অংশ- পর্ব সংখ্যা- ১৫-১৬ ,- (২০১৫-মার্চ-এপ্রিল) ।


যোগাড়যন্ত্রে লাগা-১৫


নিজে বাঁচিলে বাবার নাম
এটাই আসল উত্তম কাম ,
চৈতন্যে আমি এই পথ ধরি
কাজে যোগাড়ে লেগে পড়ি ৷
ঘাস-ফুল-পাতা নিয়ে
রেখেছি দোকান সাজিয়ে ,
যা’তে তারা পুনঃ বাঁচে
আমি যত্ন নেই সকাল সাঁজে ,
আজ কোদালে জনতা চাঁচে !
কাঠ যেমন চাঁচে ,দিয়ে রেঁদা
বড়ো চিন্তা ওরা যেন বাঁচে
উপড়ে তবু করিছে গাদা ৷


ঘাসের গোড়া যে- ‘মূল’
ঘাসের ভাল নাম- ‘তৃণ’
আজ যদিও দেখায় জরা-জীর্ণ
তবু, দু’য়ে মিলে ‘তৃণমূল’ !
তার সাথে পাতা ফুল ;
লেজটি ‘কংগ্রেস’ দিলে জুড়ে ,
অপূর্ব নামের আকার ধরে !
‘তৃণমূল কংগ্রেস’
আমার সেই আদি বেশ ৷
একটু রাখি মনেতে আশা
যদি জাগে কখনো ভালবাসা
পুরাতন কংগ্রসের সাথে ?
বিষয়টা রাখি- সেইমত মাথে ,
এখানে ভেক্ পালটিয়ে
মূলটা রাখি ! না- মিটিয়ে ৷
আমার ভালোবাসার ‘কংগ্রেস’
তারে করি না সমূলে শেষ !
শেষ বাঁচা, কাজেতে লেজটা
‘কংগ্রেস’, আগে বাঁচাবে ওটা ৷


নামের মহত্ত্ব-১৬


আমার অনেক সাকরেদ
প্রশ্ন করে- ধরে জেদ
বলে, কেন রেখেছ ওটা ?
লোকে দেয় খোটা ,
যে-টা তুমি চাওনা
ফেলিতে কর আনাগোনা ?
আমি শাসিয়ে বলি ,
চুপকর ,-বকিস না খালিখালি !
মানুষকে বোঝাতে গেলে
জড়াতে হয় ভ্রমজালে ,
যেমন মাছ ধরে জেলে ,
জলে জাল ফেলে !
আমিও কলে, ছলে-বলে
মানুষ ধরি- ধূর্ত চালে !
এ সব হম্বি,-তম্বি
ভণ্ডামি, গুন্ডামি ,
একটু আধটু করিতে হয়
পেতে গেলে মোক্ষম জয় ৷
আমি প্রাঞ্জল- মুখরা
শব্দে কাজ সারি ,সারা
কণ্ঠে মধুর বচন টানি
বলে যাই ছলনা বাণী ৷
গলার জোরে সুর করে
এ সব করিতে হয় ,
একদা হয়- ভাল জয় !


আমার দোকানের নিশানা
অর্থ করে যায় শোনা ,
জানাতে নেইকো মানা ৷
ফুল-পাতা-ঘাস ,
ঘাস,শুকিয়ে করে খসখস ,
পরে করে মচ-মচ !
যখন হয় চামটা !
শিকড়ে রসের মানটা-
কমাতে কমে, দমটা -
শেষে যায় প্রায় প্রাণটা !
ঘাস হয় ফুস -
শুকিয়ে হবে তুষ !
ধরে উই পোকা ,
আমার ও আছে দেখা !
                       ক্রমশঃ