ধারাবাহিক কাব্য, "ভাবনা" তার অংশ- পর্ব সংখ্যা- ৯-১০ , (২০১৫-মার্চ-এপ্রিল) ।


কামদুনির মামলা-৯


রূপটি দেখেনি কামদুনি ?
কপালে জোটে শুধু কাঁদুনি-
কাঁদিবে না.... ? কেন শুনি ?
আমি- জিদ্দী মায়াবিনী ।
রাগিলে আবার যে রাগিনী !
কেন তারা বোঝে না !
পেয়েও এত যাতনা ?
কার সামনে এসে দাঁড়ায় ?
ওরা নকসাল আনে ভাড়ায় !
টি,ভি-তে স্পষ্ট বলেছি-
বহুবার গলাফেড়ে চেঁচিয়েছি ,
তারা চায় না মানিতে
কামদুনির নালিশ, যায় দিল্লীতে
সাথে দিল্- লাগাতে !
কৈ সেথায় দিল্ ,- লাগল ?
চেলা ধরে, গেলতো সকল ,
কৈ হল ? ওদের আকল !
আমার চুক্তি, গোপন আশা
দিল্লীর সাথে ভালোবাসা ।


আগের ছক্--১০


এবার আমার পালা দিল্লীতে
যাব সেথায় দিল্ লাগাতে ,
আমি যে সুরেলা গীতিকার -
গীত গেয়ে সারি প্রচার !
গাই গীত ,করিয়া পিরিত
সাধ্য কার ? বলা অনুচিত ।
শুনিয়া সুর- গীতের বাণী
বাড়িবে নিশ্চয় হয়রানি ৷


ঐ ব্যাটা সি় ,বি় ,আই-
তার তো কোন কাম নাই
ধরে আমার সিপাহ সলার ,
ডানহাত সে যে আমার !
বামকে মেরেছি নখ-থাবা -
তারা এখন জবুথবু- হাবা ,
‘রায়ের’ কাছে আমি যে বোবা !
সে করে দিল্লীতে সমঝোতা ,
বাঁচায় নিজের গোটা মাথা ।
সে চতুর, মহাচালাক
আমাকে দেয় তালাক !
আমি এতো সব পারি
তার কাছে কেবল যে হারি !
আমি মানি, হাঁড়ির নিয়ম ,
কেন করিব না সম্ভ্রম ?
এক হাঁড়ি ভরা ভাত -
জানা যায় তার জাত ,
একটা আঙুলে টিপিলে
সবার খবর ঠিক মেলে ,
ফুটেছে কি না ভাত ।
মুখ্য দলনেতা যদি যায় ,
আমার দলের দশা কি হয় ?


পাঠ করি একএক ভাল
জ্ঞানী-মানীর সব হাল ,
রয় না আমার অজ্ঞাত ;
আবাসে বুঝি ভালমত ।
আমার আসল জাত
ঐ হাঁড়ি ভরা ভাত !
এই ছোট্ট, মাত্র কথাটা ,
এখনো গোপন আছে সেটা !
                              ক্রমশঃ
*-কামদুনির মামলা > কুখ্যাত সে নারীধর্ষণ কাণ্ড ।
রাজ্যের ঐদাসীন্যতার জন্য এক প্রতিনিধি মণ্ডল দিল্লী যায় রাষ্ট্রপতির কাছে ।