ধারাবাহিক কাব্য, "ভাবনা" তার অংশ- পর্ব সংখ্যা- ৭-৮ , (২০১৫-মার্চ-এপ্রিল) ।


মায়াবিনী-৭


মায়াবিনী ছদ্ম বেশে আজি-
বাংলার বুকে বিরাজি ,-
বুঝতে দেই না কারো
আমি যে দ্বন্দ্বকাজের কাজী
ভাঙিলে সবার মোহপাশ
এই ভাবমূর্তি হবেই প্রকাশ ।
আমার চাল অতি সুচারু
বোঝার সাধ্য নেই কারু ,
আমার এক আদর্শ শপথ
ভরসা শূন্য, ন্যায়ের পথ
ব্যাটা ! আসুক না মম দ্বারে
আচ্ছা বকে দেব তারে
আমি বাঁচি গলার জোরে ।


ধরলেই বা যায় আসে কি
জনতা দু’চোখে দেখে নি ?
কিছু আমার খাস সাকরেদ
মিথ্যা করে,- বিলাপ-খেদ্
কোন্ রাজ্যে না কেলেঙ্কারী ?
আমরা না হয় একটু করি ,
দু’চার সাথী পড়েছে ধরা -
বোকা তারা,- গো-বেচারা !
‘ভাবনার’ কথা শোনে নি ,
কেন বলেনি, ‘আমরা করিনি’ ?
বামেরা এসব করে
আমরা বাতাস দেই উপরে ,
সঠিক যুক্তিতে কয়
হাওয়া, ওরা ইচ্ছামত বয় ,
বায়ু সর্বস্থানে চলে বেড়ায়
যেদিক পারে সোজা ধায় ;
এভাবেই সারদা ছড়ায় ,
আমরা বাড়াই আরো জোরে
সারদা দেই মগজে পুরে !


হয়ে ভয়ে ভয়ে- আধমরা
এমন কথাটা, কেন যে তারা !
হতভাগারা, বলেনি পরে ?
এজন্য থানায় ধরা পড়ে !
একটু করিলে চালাকি
দিতে পারিত  ফাঁকি !
আর ঐ খোশামুদের দল
খুব জেদ ধরে কেবল
মাছির মত মোর চারিপাশে ,
‘ভাবনা’-‘ভাবনা’ করে ঘেঁষে ৷
তারা আরামে আছে ঘরে
আদরভরে ,মাথার পরে ,
স্তরে-স্তরে, সুখে পড়ে ৷
যাবে না তারা দূরে সরে
শুধু বাঁচে আমার জোরে !


চলে যায় , যাক- না ?
কে করিছে- মানা
প্রস্থানে সে বাঁচিবে না ,
নেই তাদের কোন যোগ্যতা ,
পড়ে আছে পায়ে- অগত্যা
এখানে শুধু মধুভরা, বাসনা !
এ জন্য ছাড়ে না ‘ভাবনা’,
তারা অনত্র যেতে চায়ও না !


সিঙ্গুরের মাটি-- ৮


সিঙ্গুরের মাটি সংঘর্যে খাঁটী !
এখন এটা দখলে টাটার-
সব দোষ ও ঐ ব্যাটার !        
অন্তর-মন ভীষণ টাটায়
কী করে যে তাকে হটাই ?
তেষ্টায় পান করি জল -
সর্বদোষে দোষী- ঐ খল !
টাটা, বাম, সাথে মিলে -
কোটে মামলা তোলে -
বুদ্ধির জোরে  কূট চাল  ,
করেছি ধ্বংস- বানচাল  ।
এখন, সিঙ্গুরের মাটিতে
‘নেনো’,কারখানা হটাতে
কত যে শান্তি অন্তর মনে
আমার লাভ হয় মহারণে ।
মম ঘাসফুল সেথা খেলে ,
দেখুক লোকে, নয়ন মেলে ৷
কী অপরূপ শোভা ধরিছে ,
যেন ‘নীরোর বাঁশি’বাজিছে !
ঐ আহত -দগ্ধ মানুষ
কেন ফেরায় না এখনো হুঁশ ?
ক্রমশঃ