ধারাবাহিক কাব্য, "ভাবনা", তার অংশ- পর্ব সংখ্যা- ২৫-২৬ ,- (২০১৫-মার্চ-এপ্রিল) ।


"ভাবনা" নির্ভয় ২৫


বৃদ্ধিতে ঐ ‘পদ্ম’-ব্যাটা
যার গায়ে বিষাক্ত কাঁটা !
কাঁটাও ভেঙে দেব
যখন পুনঃ গদি পাব ৷
এখন এই পদ্ম কাঁটায়
বেদনাময় বেজায় ফোঁটায় ,
এ জ্বালা-দহন, কী আশ্চর্য !
গাত্রে হয় না সহ্য ,
এর আগে ছিলেম- বেশ
মিলেমিশে সাথে অশেষ ,
তাকে খুব ,ভালবাসিতাম
তারাও দিত মোরে দাম ,
একদা করে মন্ত্রী,- রেল
তখন দেখাই নানা খেল ,
গেছে তারা সব ভুলে
আমাকে দেয় দূরে ঠেলে ,
এখন চোখের জলে ,
কালে ,তাঁর দুয়ারে দাঁড়াই
যদি কিছু ভরসা পাই ৷


‘হাত’, তারে দিয়েছি বাদ
সে বাংলা প্রদেশে বরবাদ ,
বুঝুক সে  হারার বিশ্রী স্বাদ ?
এক সময় চালাকি করে
ওদের হাতটি ধরে
যদিও আমি উঠি উপরে ;
ওরা ছিল পরম আপন
আমায় শৈশব করে পালন ,
ব্যাপারটা যখন মনে পড়ে
‘ভাবনাকে’ খায় কুরে-কুরে ,
লাজে যেন যাই মরে ।
তাদের সেই লেজ-
আদি নাম কংগ্রেস
এখনো ছাড়ি না !
আছে আমার জানা ,
যদি তারা কখনো
কোন কালে হেন
আসে দিল্লীতে ?
তখন- দিল লাগাতে
যেতে হতে পারে
সেথায়, তার দুয়ারে ,
এজন্য উপায় করে
এখনো রেখেছি নামটি ধরে ৷
কি অসহায় আজ তারা
একদিন সম্রাট ছিল য়ারা
এখন যায় বুঝি মাঠে মারা ,
দেখে তারা, আকাশের তারা !
দিল্লীতে নাম কাটা
পঙ্খ হয়ছে ছাঁটা !


আর ঐ পদ্মের ডগাটা
আমার পথের কাঁটা ,
কাঁটায় কাঁটা ওঠে
জানা আছে বটে !
দেখাই দলের শক্তি
ধরি কুখ্যাত দুষ্কৃতি
অকেজো দল ত্যাগী
জেল খাটা কয়েদি
জোচ্চোর বনেদি ,
যতো দল, বাম বিরোধী ,
আবার নকশাল ধরি
বেয়ে যাই সমানে তরী !
‘সারদাকে’নিয়ে দেব পাড়ি ৷


একই জাতি-২৬


মম সাথে ঐ ‘হাত’,‘পদ্ম’
করিতে চায় দ্বন্দ্ব, যুদ্ধ !
ওরা বোঝে না হেথা
উভয়ে দেই- ভাওতা ,
ওরা ,আমরা ,জাতে এক
সব পুঁজিপতিদের সেবক ,
এক সাথে সব দল মিলে
থাকি হাঁড়িতে একচালে ,
পড়ে থাকি মিলে মিশে ,
ওদের দল তো অবশেষে
থাকে সমাজে ছদ্মবেশে ,
বুঝতে পারে না  লোক
সে দলকেও ভাবে জনসেবক ৷
পদ্ম- দলকে মানা  
জানে না তার কারনামা ,
মূলে সব পুঁজিপতির দল
করি মাত্র সকলে মিলে ছল !
‘হাত’ ‘পদ্মফুল’
আমারও ‘ঘাস-গোড়া-ফুল’
সবই পুঁজি তন্ত্রের মূল !
আর কিছু দল যে চামচা
হঠাৎ সাথে মেশে আচমকা
প্রিয় হয়ে ভোটে জোটে -
তারাও পুঁজিবাদী দল বটে !


এ ছাড়া, ভিন্ন কারা-কারা ?
এরা, বড়ো শক্ত, বামেরা !
উপরে পাকাপোক্ত তারা
কুকাজে পড়েনি ওরা ধরা !
কেলেঙ্কারীতে না নামগন্ধ
তবু আমার ভাষায় ওরা মন্দ ।
ঝাণ্ডা- ডাণ্ডা বদলায় না
ঝঞ্ঝাবাতে দল ভাড়ায় না !
হারে,মরে, নীতি ছাড়ে না
অর্থ সঞ্চয়, স্বার্থে নয় আগে
দোষ নেই তার-ভাগে ।
এজন্য সংখ্যায় বাড়ে না !
বামেরা এখনো অবুঝ
জনতা চায় ভূঁয়া তরবুজ !
বাঞ্ছা- রংচঙের কার্পেট
সব হাতে চায় রেডিমেট ,
শুধু চাই তেজ হাকডাক
সহজে মরমে লাগবে তাক !


বাকি দলের আছে পেটে
তারা জেতে শুধু কপটে !
আমার ‘ঘাসের গোড়া’
তারাও ঐমত আগাগোড়া
মা-মাটি-মানুষে মোড়া ,
গোড়া ‘কাদা’ ছাড়া থাকে না
আমার গায়ে ছিটে লাগে না !


তবে হাঁ,আমার বেশ
দেয় যে সন্দেশ
সভায়, সাদা মাটা ,
এই সত্য কথাটা
বামেরা দিয়েছে যেটা
তারা মিলে মিশে সাধারণ
কাটায় রাজনৈতিক জীবন
দেখানোটা নয় ওদের ধরণ
কাজে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, আচরণ ।
স্বাদ পেয়েছি এটা চেখে
তাই নেই, আদরে মেখে ।


কংগ্রেসীরা সৌখিন ,
পদ্মও তাই, নহে ভিন্
ভাইপোরা চমক দেখায়
পুঁজির স্বাদ তারা পায়
কচি-বাচ্ছা তাই কিছু খায় ,
যদিও আমার আছে সায় ।


চাইলে দুর্নীতি উন্মুলনে
পারা যায় শাসন গুণে
গরীব ওরা সর্বদা বশে
তারা ঘোরে মম চারপাশে
ভোটে যে বিজয় চাই
জনমাঝে ভেখ ধরি সদাই ,
আমার ত্যেজ হুঙ্কারে
জনতা স্বপক্ষে ঘোরে ,
জিতি, তাদের হাত ধরে !
                 ক্রমশঃ