ধারাবাহিক কাব্য, "ভাবনা", তার অংশ- পর্ব সংখ্যা- ২৩-২৪ ,- (২০১৫-মার্চ-এপ্রিল) ।


“ভাবনার” ফন্দি-২৩


বামরে বধিতে তার কামে
ফন্দি ধরি, নন্দী গ্রামে ,
বাজাই ঘনঘন বাদ্যযন্ত্র
অচুক চালাই মিথ্যার মন্ত্র ।
ফেরত , সিঙ্গুরের জমি
পুনঃ হবে সবে ভূস্বামী !
এ ও ছিল মোহের ছল
বাঁচ, আশ্বাসন ধরে সম্বল !


এ কাজে ব্যাপক হারে
সমস্ত দল এক করে
আমার ইচ্ছা পূরণে যত
তুষি, ওদের সাধ্য মত ।
বাদ দেই না কোন দল ,
প্রতিহিংসা প্রবল- কেবল !
ভালটারে মন্দে রূপান্তর ,
শুধু জিদ্ , আমার মন্তর
আগে ভবিষ্যৎ দেখার নাই
একমাত্র, বাম নিপাত চাই ।
শুদ্ধ বিচারে আমার কী ?
আমার স্বভাব মহা-জিদ্দী  !
গোপনে বিছাই অকাট্য জাল
বাংলার ঘরে ডাকিব আকাল ,
ইতিহাসে চাই মানসম্মান-
নাক কেটেও দেই প্রমাণ ।


পুরোনো ইতিহাস-২৪


আমার পুরোনো ইতিহাস
ফুল-পাতা-ঘাস
এর উত্থান কী বিচিত্র
কী সুন্দর এর চরিত্র
আমি বারবার দেখাই সবার
অপরূপ, এর রং বাহার !
এইতিহাস বড়ো খাসা
বামকে করি কোণ ঠাসা-
মেটে আমার মনের আশা ,
এ মত আশ মেটাতে
সব হয় ছলে কম্ম সারিতে ।


যত ছিল বাংলার দল-
নিয়ে তাদের একত্র বল ,
দুরাচারী আর ধরিয়া খল -
আদর্শকে দিয়ে রসাতল ,
ঘাসের গোড়ায় ঢালি জল ।
আবর সাথে নেই নকশাল -
আমি অবলা, হই সবল -
এসব মোর আদরের সম্বল ,
বৃদ্ধিতে, এই পন্থা সরল !
পোড়ে বামের কপাল  
এখন তার হাস্যস্পদ হাল !


জনতা কী করে আশা ?
তারা বুঝতে পারে না ভাষা
এ সব আস্থার ভালোবাসা ৷
পুনঃ কেন চায় তারা হক্ ?
ঘোষণা, পুরোটা ছিল নিছক !
ভোটের লাগি বলি তাই-
মিথ্যাই, সত্য বলে বেড়াই ৷
জনতারে বাঁধি আশ্বাসনে
বড়ো আশা জাগাই মনে ,
হরি, অন্য দলের বিশ্বাস-
চিরতরে করি ওদের নাশ ।


তারপর পালা, ব্যাটা কিশান ,
কী বলে আমার বিধান ?
সততা ,ন্যায়, রাখি শূন্যে-
আস্থা নাই, পাপ-পুণ্যে ৷
হারা কক্ষনো না জানি-
আমি যে রণজয়ী সংহারিনী !
আগে যদি কেহ চায়
আমাকে কোনরকম মাতায়
দেব না সহজে ছাড়ি
নেব তার প্রাণটি কাড়ি !
লোকে কেন বোঝে না ?
বাংলার বুকে আমি ‘ভাবনা’ ।
                          ক্রমশঃ
*- নকশাল নেতা “কিশান” এক সময় রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হয় , পুলিশ এনকাউন্টারে- (Encounter) মারা যায় , তাঁর মা এই হত্যাকে রাজ্যের ষড়যন্ত্র বলেন ।