আমি ক্লান্ত-শ্রান্ত, কত কিছু বলা
ফুঁক-ফুককর্ ,কদম-কদম চলা ।
কাণ্ডারী পার করে, নদীর গভীর পানি
কেন দোষারোপ মাঝিকে ধর্মে টানি ?
মানুষ সেতো উপকারী সবার দুঃখে ,
মানবকূল, মিলেমিশে থাকে সুখে ।


কী সে নীতি ,কটূতা ভরা বিদ্বেষ ?
ধরণীর বুকে আজ দৃশ্যপট অশেষ ।
এর মূলে সে কারণ কার্যকর - বুঝি
ধর্ম নিয়ে মিথ্যা দম্ভ, ভাঁওতাবাজি ।
কারা যে করে গেছে এ প্রথার চলন
মূল ভাবনা অপরের সম্পত্তি হরণ ।
যদি ধর্মে কেউ কারো না করে লুট ,
পাশাপাশি বসোবাস, মৈত্রী হয় অটুট ।


স্বাধীন ভারতে মহান সে মুনিঋষিরা
সুদিনে ,ধর্মনিরপেক্ষতার বিচার ধরা ,
বুঝেছিলেন, মানুষ মাঝে এক দানব
দস্যুবৃত্তি, তায় জীবন করে উপভোগ ।
আজ বিশ্ব প্রয়োজনে, ভূমণ্ডলীকরণ
সবদেশ ধর্মনিরপেক্ষতায় প্রায় বরণ ,
আগেও লোকধর্মে হবে না ব্যতিক্রম -
একতা, বন্ধুত্ব ,ভাইচারা ধারনে ধরম ।


(২৯-১১-২০২০)
এখানে ধর্মকে নিয়ে অবজ্ঞা করা নয় ।
ধর্মের ভুল আচরণ, মান্যতার কথা বলা হয়েছে ।