আজাদ দেশ ঊনসত্তর বছর হল শেষ ,        
সময়ে পেয়েছে শক্তি-সুযোগ-সহযোগ অশেষ ;
গড়েছে গণতন্ত্র পরেছে স্বাধীন রাজমুকুট
লালকেল্লা রাষ্ট্রধ্বজে হয়েছে চিরতরে অটুট ৷    
কত হল অধিবেশন, পার্লামেন্ট কক্ষ রমরমা ,
আদর্শ চলচিত্র-বাদ্য-গান, হম্বা-হম্বা ;
মঠ-মন্দির মসজিদ্ গীর্জায় শ্রদ্ধালুর ভিড়    
হোটেল পাঁচতারা-মডেলে এনেছে প্রায় শূন্যচীর ৷  
খনি-ভূমি, জড়-স্থাবরে এসেছে ভীষণ রপ্তার    
দেশে এসেছে দ্রব্যের জৌলুস পণ্যের বাহার ,                                        
কঠোর শ্রমে, চিন্তায়-জ্ঞানে গতি এসেছে সবার ;      
হামবড়ো ভাব, দম্ভ স্বার্থী নেতার আবার ৷                  
কত ঘটনার সাক্ষ্য ভরা যে এই দেশ
বিচারালয়ে বাড়ে বিচারকের অধিক ক্লেশ !
লাহোরের মাটিতে পৌঁছাল সদভাবনা বাস ,
পোখরণ্ আজ বহিছে বিশ্বে শৌর্যের সুযশ !
তবু মানবতা তরে একটি অন্তরের জিজ্ঞাসা ,
এ দৃশ্য কুজ্ঝটিকা, না রংতামাশা ?


দিল্লীর মসনদে পশমে যাঁরা রাতে শুয়ে-
কোটি লোকে কুর্ণীশ করে তাঁদের নতজানু হয়ে ৷
আর ঐ হাড়কাঁপুনি শীতের রাতে
রাত কাটায় যারা পরিণত প্রায় অর্দ্ধ মৃতে ,
তাদের তরে বিধানে আছে কি কোন উপায়
সারাটা জীবন বয়ে চলে সঙ্কটময় ?
কষ্টে ভরে চোঁখের কোণায় নিষ্পাপ কতফোঁটা নীর
আস্তাকুড়ে খাবার কুড়োয় পরিয়া শতছিন্ন চীর
আবার অনল দগ্ধ গ্রীষ্মে পাহাড় ভাঙা পণ
পেটের জ্বালায় সকলে বারটিমাস খাটে সর্বক্ষণ ৷                  
ধনাঢ্য রম্য বৈভব অযাচিত একাধারে                                    
নিঃস্বরা স্বপন দেখিতে পারে না ধরণী পরে,
অভাবের কাঁটায় তারা মুমূর্ষু, জর্জরিত সর্বশরীর
অজান্তে মেলে নাম,ওরা যে ‘ফকীর’ !


হয়তো শুভদিনে কেহ সদয় সত্বরে
উদ্ধারিতে মুক্তিদাতা রূপে মোদের দ্বারে ,  
দু’নয়নে অধীরে ঐ সুদিনের অপেক্ষায়  
খুঁজিতে উপায় কাল বুঝি গত হয় !    
প্রচারে আছে আজ উন্নতির চরম শিখর !
প্রতিদিন সংবাদে আসে এমনি নবনব খবর ,
চারিদিকে ঢোল বাজানো আর নাম ডাক
বেল পাকিলে কী করিবে কাক ?    
  (ইং-২৭-০২-২০১৬-শনিবার)আমারঅন্যকবিতাGoole--(Jiggasa.in)