মান্য, তুমি মান, মনুষ্যতা -
তবু পরিচয় রাখো, ভিন্নতা !
বুঝি ? ঘিরে, চিরাচরিত প্রথা-
তবু ,উঁচ্চ স্বরে বলো- কথা !
গলায় না পারিলে, সাধো যন্ত্রে ,
ছেদ করে পাঠাও অন্তরে !
অনুধাবনে কত যে কষ্ট হয় ,
মর্মে যেন, হাতুড়ি পেটায় !
তবু ,ইহাই তব দৃঢ় জিদ্ -
দেখ না, সমাজের হিত-অহিত ৷


তব রূপের বাহার, প্রায়ই জানা -
তবু চলনে ধরো, কত বাহানা !
বৈচিত্র আস্থার ধ্বজ উড়িয়ে -
শতবার একক ভাবনায় গেয়ে ,
আচরণ সারো সেই ধারায় -
লাল, কালো, সাদা, গেরুয়ায় !


তুমি চিরকাল মাংসাহারী -
কেহ বা, আবার অনাহারী !
সত্য প্রকাশে, ধারণ কণ্ঠহার -
অপরূপে তৈরী,-তাহা হাড় !
মালা, আমিষভোজীর ছাড়পত্র ,
তব গলে শোভে দিবারাত্র !
উপোষীর পরিচয় ! সে মাত্র -
সদা সবার, করুণার পাত্র ৷
তবুও তোমারটা- জমজমাট !
এটাই, সমাজের ফাটল বিরাট !!


(ইং-১৫-০৬-২০১৭)
এখানে লেখাটি একটু রূপক চিন্তায় লেখা । কবিতার ছলে কিছু বলা । এই যে বৈচিত্র ময় পৃথিবী, এখানে কত না ভেদাভেদ ! একে অপরে তার প্রতিষ্ঠার বড়াই করে । তার জন্য একটা প্রতিককে শ্রেষ্ঠ বলে তুলে ধরে । যারা দুর্বল তারা কোথায় যাবে ? যেমন কেউ মাংস খায়, গলায় হাড়ের মালা পরা কি উচিত ? ধন্যবাদ প্রিয়কবি শুভেচ্ছা ।.